জঙ্গীবাদ, সামাজিক ও ধর্মীয় কুসংস্কার রুখতে প্রথম আলোর চরে ছায়া’র চলচ্চিত্র প্রদর্শনী

Written on 19 April 2024. Posted in Print

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: মুক্তিযুদ্ধ আজও হয়নি শেষ, চাই জঙ্গীমুক্ত বাংলাদেশ

এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জঙ্গীবাদ, সামাজিক ও ধর্মীয় কুসংস্কার রুখতে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী-২০১৬ এর আওতায় গতকাল ২৩ মার্চ ২০১৬ কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ঘোগাদহ ইউনিয়নের প্রথম আলোর চর বিদ্যালয় মাঠে ছায়ার চলচ্চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক, ঘোগাদহ ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি, জননেতা ল্যান্স কর্পোরাল জনাব আব্দুর রাজ্জাক (অব. প্রাপ্ত)। প্রদর্শনীতে মুসলিম ক্যানাডিয়ান কংগ্রেসের সাবেক ডিরেক্টর; ওয়ার্ল্ড মুসলিম কংগ্রেস-এর উপদেষ্টা; ইসলামে মানবাধিকারের প্রবক্তা জনাব হাসান মাহমুদের আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রাপ্ত ডকুমেনটারি হিল্লা, নারী ও তারেক মাসুদের আন্তর্জাতিক পুরস্কর প্রাপ্ত চলচ্চিত্র মাটির ময়না প্রদর্শন করা হয়।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, বিভিন্নভাবে সমাজ বদলে দেওয়া যায়, সমাজ বদল ও মানুষের মানসিকতা পরিবর্তনে চলচ্চিত্রের ভূমিকা অপরিসীম। এক্ষেত্রে চলচ্চিত্রের মাধ্যমেই মানুষের উন্নত মনন গঠন ও জঙ্গীবাদ রোখা সম্ভব। প্রদর্শনী শেষে ডকুমেনটারি সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জনাব আতাউর রহমান বলেন, আমাদের সমাজে কোরআন হাদিসের অপব্যাখ্যার মাধ্যমে মূলত নারীদেরকে পিছিয়ে রাখা হয়েছে। কোরআন হাদিসের রোফারেন্স সহ এই ডকুমেনটারিগুলো দেখার পর তা প্রমান হয়ে গেল। আশাকরি এই প্রদর্শনী দেখার পর নারীরা তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হবে এবং সমাজ উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে তাদের আর কোনো বাধা থাকবে না।

অত্র বিদ্যালয়ের আরেকজন সহকারী শিক্ষক জনাব হাবিবুর রহমান বলেন, আমরা এতদিন না জানার কারণে বিভিন্ন ভুল হাদিস ও কোরআনের অপব্যাখ্যা শুনে ধর্মান্ধ ছিলাম যা আজ এই ডকুমেনটারিগুলো দেখার পর স্পষ্ট হল। সঠিক হাদিস ও কোরআন কখনই নারীদেরকে অবমূল্যায়ন করেনি বরং কোরআন ও হাদিসে নারীদেরকে অধিক সম্মান ও মর্যাদা দেয়া হয়েছে। এই বার্তাগুলো সবার কাছে পৌঁছে দেয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।

৩ দিন ব্যাপী এই চলচ্চিত্র উৎসবে ২৬মার্চ- মুক্তির গান ও হিল্লা, ২৭ মার্চ- রানওয়ে ও নারী এবং ২৮ মার্চ-মাটির ময়না ও শারিয়া প্রহেলিকা চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে।

হিল্লা, নারী ও শারিয়া প্রহেলিকা, এই শারিয়া-চলচ্চিত্রগুলি রচনা করেছেন “মুসলিমস ফেসিং টুমরো”-র জেনারেল সেক্রেটারি জনাব হাসান মাহমুদ।

প্রদর্শনীটি সন্ধ্যা ৭.০০ থেকে শুরু হয়ে রাত ১২.০০টা পর্যন্ত চলে এবং প্রায় দের হাজারেরও বেশি লোক প্রদর্শনীটি উপভোগ করেন।

Print