সমস্যায় সমস্যায় জাতির মন মগজ কণ্টকিত, মাথায় আর কিছু নেবার জায়গা নেই। কিন্তু এ সমস্যাটাও কম জরুরী নয়। একাত্তরের পঁচিশে মার্চের পর পাকিস্তানী আর্মি শহীদ মিনারে সাইনবোর্ডে টাঙিয়ে দিয়েছিল, “মসজিদ”। মতলব, ওরা ওখানে মসজিদ বানাবে যাতে আমরা শহীদ দিবসে ওখানে ফুল না দিতে পারি, “আমার ভায়ের রক্তে রাঙানো” গাইতে না পারি, শহীদ মিনার যেন আমাদের জাতীয় চেতনার মেরুদণ্ড ও সাংস্কৃতিক তীর্থকেন্দ্রের চরিত্র হারায়।
ষড়যন্ত্রের ফসল সে মসজিদ উড়ে গেছে কালের হাওয়ায়।
বেশ কবছর আগে ঢাকার বন্ধু ফোনে বলল এক কোটি-কোটিপতির ছয়তালা দালান জুড়ে সুবিশাল গার্মেন্ট ফ্যাক্টরী। হঠাৎ একদিন মালিক হনহন করে এসে হেঁকে বলল দেশ গোল্লায় গেছে কারণ মানুষ নামাজ পড়ছে না। তাই সে পাঁচতালায় বানিয়েছে মসজিদ, দেখাশোনা ও ইমামতির জন্য এক ইমামকে চাকরী দেয়া হয়েছে। সবাইকে নামাজ পড়তে হবে, নামাজের সময়টা ব্রেক টাইমের বাইরে এক্সট্রা, সে সময়ের বেতন কাটা হবেনা। কোন মুসলমান নামাজ না পড়লে সটান চাকরী নট। ধন্য ধন্য পড়ে গেছে সারা কোম্পানীতে। বললাম-“ভালই তো করেছে”। বন্ধু হেসে বলল, “ব্যাটা কতবড় ধান্ধাবাজ তুমি জানো না। দালানের অনুমতি ছিল চারতালা, করেছে ছয়তালা। রাজউক কিভাবে সেটা টের পেয়েছে, ইন্সপেকশন হবে শিগগিরই। তাই পাঁচ তালায় করেছে মসজিদ যাতে রাজউক মসজিদ ভাঙার সাহস না পায়, দালানটা বেঁচে যায়”।
ষড়যন্ত্রের ফসল এ মসজিদও উড়ে গেছে কালের হাওয়ায়।
কোরানে উল্লেখিত মসজিদগুলোর একটা হল মদীনার কোবা এলাকার জারার মসজিদ। ভেতর থেকে মুসলমানদের ক্ষতি করার জন্য খ্রীষ্টান পাদ্রী আবু আমীর-এর উস্কানিতে কিছু অমুসলিম ইসলাম গ্রহণের ভান করে ওই মসজিদ বানায়। ওখানে ওরা নামাজ পড়ত ও ফিতনা অশান্তি সৃষ্টি, মুসলিমদের বিরুদ্ধে বহিঃশত্রুর আক্রমণ ইত্যাদি নানারকম ষড়যন্ত্র করত। মসজিদটাকে আরো বৈধ করার জন্য ওরা নবীজীকে (স)অনুরোধ করে তিনি যেন সেখানে অন্তত: এক ওয়াক্ত নামাজের ইমামতি করেন। নবীজী (স) তখন তাবুক অভিযানে ব্যস্ত, বললেন পরে করবেন। তাবুক থেকে ফেরার পথে তাঁকে সতর্ক করে সুরা তওবা আয়াত ১০৭ আয়াত নাজিল হল:-
“আর যারা মসজিদ নির্মাণ করেছে ক্ষতিসাধন, কুফর ও মুমিনদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে এবং এর আগে আল্লাহ ও তার রাসূলের বিরুদ্ধে যে লড়াই করেছে তার গোপন ঘাঁটিস্বরূপ ব্যবহারের উদ্দেশ্যে, আর তারা অবশ্যই শপথ করবে, আমরা কেবল ভালো চেয়েছি; আর আল্লাহ সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, অবশ্যই তারা মিথ্যাবাদী”।
নবীজী (স) সাহাবীদের আদেশ দিলেন -“যাও, ওই মসজিদকে ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে আগুনে পুড়িয়ে ছাই করে এসো”। সাহাবীরা ওটাকে ভেঙে গুঁড়িয়ে আগুনে পুড়িয়ে ছাই করে এলেন। যুক্তিসংগত ভাবেই বলা যায় কোনো প্রতিষ্ঠান বা অনুষ্ঠান ইসলামের নামে হলেও সেখান থেকে জেনে বা না জেনে অশান্তি, ফিৎনা, ঘৃণা ছড়ানো হলে সেটা ইসলামী হতে পারেনা, সেটা জারার মসজিদের মতোই অবৈধ।
দেশে অজস্র ওয়াজ মাহফিল হয় যার প্রভাব জনগণের ওপর ব্যাপক। জাতির ও মওলানাদের মাইন্ডসেট বুঝবার জন্য সেগুলো দেখার ও বিশ্লেষণ করার দরকার আছে। কিছু ওয়াজ মাহফিলে ইসলামের বিভিন্ন আঙ্গিক বা একই বিষয়ে বিভিন্ন আলেমের ভিন্ন মতামত নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে উপভোগ্য ও শিক্ষামূলক আলোচনা হয়। আবার কিছু ওয়াজে শুনি কম্পিউটার, মোবাইল, বিমান, মাইক, ফেসবুক ইত্যাদি কোরান থেকে গবেষণা করে আবিষ্কার করা হয়েছে, কিংবা রোহিঙ্গাদের নিয়ে আল্লাহ খুব চিন্তিত, কিংবা গতরাতে মোবাইলে আল্লাহ’র সাথে বক্তার কথা হয়েছে ইত্যাদি। এক মওলানা আবার জনতাকে মোবাইলে ধারণকৃত দোজখে অসংখ্য পাপীদের পুড়ে যাবার আর্ত চিৎকার শোনালেন, ওটা নাকি বিজ্ঞানীরা পাইপের সাথে ক্যামেরা লাগিয়ে সাইবেরিয়াতে মাটির অনেক গভীরে ঢুকিয়ে রেকর্ড করেছেন। আমরা যারা নববর্ষ পালন করি তাঁদের পরকাল নিয়ে আরেক মওলানা “অত্যধিক চিন্তিত”, সেজন্য তাঁকে অজস্র ধন্যবাদ। কোনো কোনো বক্তা আবার ক্রোধে উন্মত্ত হয়ে গলার রগ ফুলিয়ে হুংকার-চিৎকার করে মৃগীরোগীর মতো হাত পা ছুঁড়তে থাকেন।
কিছু কিছু ওয়াজ মাহফিলে উগ্র ভাষায় অশান্তি, ফিৎনা, ঘৃণা এবং নারী-বিরোধিতা ছড়ানো হয় যাতে ইসলামের এক ভয়ংকর চেহারা ফুটে ওঠে। উদাহরণ দিচ্ছি ওয়াজে মাওলানার বক্তৃতার উদ্ধৃতি দিয়ে, এর সাথে তাঁর দেহ ও মুখের হিংস্র ভঙ্গী যোগ করে নেবেন:-
“”আপনারা বাপ্ বেটিতে কি লজ্জা বেচে খেয়েছেন ? বিবাহের বাড়িতে নারীদের যেতে দেবেন না….. নারী জন্ম হওয়াই কলঙ্ক, কুলক্ষণ, অমঙ্গল। নারীর কোনো আত্মা নেই। নারীর জন্ম হয়েছে সেবার জন্য। স্বামী স্ত্রীকে বিক্রি করতে পারে। স্ত্রী হচ্ছে বাড়ির সম্পদ, জিনিসের মতো। নারী তার স্বামী নির্যাতন চালালেও অন্য কোথাও যেতে পারবে না, …… আপনি মারা গেছেন নাকি আপনার স্ত্রী বাজারে আসে পটল কিনতে? ছিঃছিঃছিঃ সারাদিন আপনার স্ত্রী ধাক্কা খেয়ে বেড়ায়, আপনি পুরুষ না অন্য কিছু। আপনি মানুষ না নিজেকে পশু মনে করেন? ……নিজেকে কি গরু ছাগল মনে করেন নাকি? আপনার স্ত্রী বাজারে আসলো কেন? ও হাট বাজার করার প্রয়োজন মনে করলো কেন? আপনি কি করেন, কাপুরুষ? লজ্জা হয় না, শরম হয়না, হায়া হয়না, ইতস্ততঃ হয়না? আপনার মতো কাপুরুষের কারণে আজকে সমাজ নষ্ট হয়েছে…… তুমি মাঠে গেলে জাহান্নামে যাবা, নষ্টা মেয়ে তুমি, সমকামী মেয়ে তুমি, নোংরা মেয়ে তুমি, বর্বর মেয়ে তুমি, অসভ্য মেয়ে তুমি, অশিক্ষিতা মেয়ে তুমি। তোমার নীতিকে কবর দিতে এসেছি তুমি মনে রেখো। তুমি বাজারে আসবে কেন? তোমার লজ্জা বোধ হয় না ? তোমার শরম বোধ হয় না? তোমার স্বামী কি মারা গেছে? তোমার বড় ছেলে কি মরেছে? তোমার কাজের লোক কি মরেছে? তুমি বাজারে এসেছো কেন? তুমি কেনো এইখানে””?? – উদ্ধৃতি শেষ।
ভয়াবহ ব্যাপার। এটা কোনো বিচ্ছিন্ন বক্তৃতা নয় এটা এরকম বহু বক্তৃতার একটা মাত্র। এটাকে কোনোমতেই ছোট করে দেখার অবকাশ নেই। ফেসবুকে যেখানে মতামতে পান থেকে চুন খসলেই সরকারের চুল পটাং করে খাড়া হয়ে যায় সেখানে এঁদের প্রতি সরকার নববধূর মতো ঘোমটা দিয়ে সলজ্জ নীরব। এইসব হুংকারী মাওলানারা অপ্রতিহত ভাবে অবাধ ও শর্তহীন বাক-স্বাধীনতা ভোগ করেন। তাঁদের সংখ্যা কম কিন্তু তাঁদের অনেক আবেগপ্রবণ ভক্ত আছে যারা বুঝতেও পারেনা অলক্ষ্যে অগোচরে তাদের রক্তে ইসলামের নামে ঘৃণা ও হিংস্রতা ঢোকানো হচ্ছে। চিন্তা চেতনায় হিংস্রতা একবার ঢুকে গেলে সেটা বের করা প্রায় অসম্ভব এবং সেটা কোনো বিশেষ বিষয়ে সীমাবদ্ধ থাকেনা, সেটা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রতিফলিত হয়। আমাদের প্রতিটি জঙ্গী কোনো না কোনো উগ্র মওলানার অপদর্শনে দীক্ষিত।
বিশ্বের অনেক দেশে পঙ্কিল রাজনীতি ক্ষমতালিপ্সায় সাফল্যের সাথে হিংস্র ধর্মগুরুদেরকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে রক্ষা ও সহায়তা করে থাকে। কিন্তু সব সরকারই এমন নয়। সম্প্রতি অষ্ট্রিয়া এরকম (সব মসজিদ নয়, সব ইমামও নয়) ঘৃণা প্রচারকারী ৭টি মসজিদ বন্ধ করে দিয়েছে, দেশ থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে ৬০ জন মওলানাকে। পিছিয়ে নেই সৌদি ও আমিরাত সরকারও। কোন বিধর্মী সম্প্রদায়ের প্রতি ঘৃণা ছড়ানোর বিরুদ্ধে আইন পাশ করেছে আমিরাত (ক্যানাডার প্রাচীনতম সাপ্তাহিক “দেশে বিদেশে” -০৭-২১-২০১৫) এবং সৌদি আরবে “ইমামেরা রাজনীতি-সম্পৃক্ত খোৎবা দিতে পারবেন না” – (আরব নিউজ রিপোর্ট – ও এশিয়া নিউজ ০১/০৪/২০১৪)।
অনেকে বলেন – “ওরা যদি পারে তাহলে আমরা কেন নয়? কোরান তো বলেইছে ফিৎনা সৃষ্টি করা হত্যার চেয়েও গুরুতর অপরাধ” – বাকারা ১৯১। দেশে এমন আইন তো আছেই, সরকারের উচিত অনতিবিলম্বে সে আইন কঠিন ভাবে প্রয়োগ করে ফিৎনা সৃষ্টিকারী এইসব হুংকারী মাওলানাদের কঠিন ভাবে দমন করা এবং সেটা এখনই। সেটা কখনোই হয়নি, সরকারগুলো ভয় পায় বলেই এটা এতো বেড়েছে”। আমি কিঞ্চিৎ দ্বিমত পোষণ করি। সমস্যার চরিত্র অনুযায়ীই সমাধান বের করতে হয়, নইলে আরো সমস্যার জন্ম হয়। যেমন, একাত্তরের আগে পশ্চিম পাকিস্তানের সাথে আমাদের সমস্যাটা ছিল রাজনৈতিক অর্থনৈতিক। সে সমস্যার রাজনৈতিক অর্থনৈতিক সমাধান বের করার মেধা সৈন্যদের থাকার কথা নয়, ছিলও না। পাকিস্তান সরকার সেই রাজনৈতিক অর্থনৈতিক সমস্যাটার সামরিক সমাধান প্রয়োগ করার ফলে কোটি মানুষের জীবন ও শান্তি ধ্বংস হয়েছে, ধ্বংস হয়েছে পাকিস্তান নিজেও।
ধর্মীয় অনাচার শুধুমাত্র আইন করে দূর করা যায়না। উত্তর আফ্রিকায় নারীর মুসলমানী বা খৎনা করার মতো বর্বর প্রথা ইসলামের নামে জাঁকিয়ে আছে হাজার বছর, বেশ কয়েকটা দেশ এর বিরুদ্ধে আইন করেছে কিন্তু কিচ্ছু লাভ হয়নি। বাংলাদেশে তাৎক্ষণিক তালাকের বিরুদ্ধে আইন আছে (যেটাতে হিল্লার নামে মুসলিম নারীকে ধর্ষণ করা হয়)। মিডিয়ার খবরে আসেনা কিন্তু গ্রামগঞ্জে ওটা কমবেশী চলছেই। আমাদের গ্রামভিত্তিক তৃণমূল আন্দোলনের কর্মীরা গত এক বছরে ছয়টা হিল্লা বন্ধ করতে পেরেছে। তার মধ্যে চারটে বন্ধ হয়েছে ওই ফতোয়া প্রদানকারী মওলানাকে দলিল দিয়ে বোঝানোর পর, তাঁরা নিজেরাই তাঁদের ফতোয়া ফিরিয়ে নিয়েছেন। ঐসব গ্রামে আর কোনোদিন ইসলামের নামে এসব অনাচার হবেনা, অন্তত: ছজন মুসলিম নারী ধর্ষণ থেকে বেঁচে গেছেন। নীরব বিপ্লব নয় এটা? ঢাকার রাজনীতি, মিডিয়া ও সুশীল সমাজের হুলুস্থূল ঢক্কানিনাদ থেকে বহু দূরে গত সাত-আট বছর ধরে রোম্যান্টিক মুভি’র মাধ্যমে ইসলামী দলিল দেখিয়ে গ্রামবাসীদেরকে শিক্ষিত করা হচ্ছে, নীরব বিপ্লব ঘটছে দেশের গ্রামে গ্রামে।
কিন্তু সমস্যাটা যেহেতু ধর্মীয়-সামাজিক, তাই আইন প্রয়োগের পাশাপাশি এটার ধর্মীয়-সামাজিক সমাধানের বিকল্প নেই। এখানেই চলে আসে শান্ত ও প্রাজ্ঞ আলেমদের ভূমিকা। তাঁরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে উগ্র মওলানাদের নিন্দা ও প্রতিরোধ কেন করেন না জানিনা। কিন্তু করলে তাঁরা ব্যাপক জনসমর্থন বিশেষ করে নারীদের সমর্থন পাবেন এবং উগ্র মওলানারা কোণঠাসা হয়ে পড়বেন। তাতে সরকারের পক্ষেও আইন প্রয়োগ করা সহজ হবে।
দেশে পঞ্চাশ বছর আগেও আমাদের ইমাম চাচারা ছিলেন হাস্যমুখ স্নেহপ্রবণ। তাই সব ধর্মের মানুষ তাঁদের শ্রদ্ধা করত। বাংলাদেশের শুভশক্তি এখন এই হুংকারী মওলানাদের চাপের মধ্যে পড়ে গেছে। এমনিতে আলেমের বিরুদ্ধে আলেমে ভরে আছে মুসলিম ইতিহাস। ইমাম বোখারী আবু হানিফা শাফি থেকে শুরু করে বড়পীর আব্দুল কাদের জিলানী এমনকি বর্তমান মওলানারা পর্য্যন্ত হেন আলেম পাওয়া কঠিন যাঁর বিরুদ্ধে কোনো না কোনো আলেম দাঁড়ান নি। কোরান সৃষ্ট না অসৃষ্ট, আল্লাহ’র হাত পা আছে কিনা, নবীজির (স) মেরাজ শারীরিক হয়েছিল নাকি রূহানী, তাঁর শরীরে মশা মাছি বসত কিনা, তিনি সামনে পেছনে চতুর্দিকে দেখতে পেতেন কিনা ইত্যাদি হাজারো বিষয় যেগুলোর প্রভাব সমাজে কম সেগুলো নিয়ে তাঁরা পরস্পরের বিরোধিতা, সমালোচনা, অপমান করেছেন করছেন। কিন্তু সমাজে হিংস্রতা প্রচারের সমস্যাটা ওগুলোর চেয়ে অনেক বেশী ক্ষতিকর।
পরস্পরের প্রতি ঘৃণায় ঘৃণায় জাতি আজ ক্ষতবিক্ষত। মানুষের পরিচিতি আজ মানুষ নয়, পরিচিতি হল কার গায়ে কোন দলের স্ট্যাম্প মারা আছে সেটা। অভিধানের বাইরে মূল্যবোধ খুঁজে পাওয়া যায়না। বিরোধের সমাধান আলাপ আলোচনা বিতর্কে সমঝোতায় নয়, বিরোধের একমাত্র সমাধান হলো কতল। এই কালনাগ ক্রমাগত ছোবল দিয়ে চলেছে। জাতির আজ সবচেয়ে বড় দরকার হেদায়েত। আমাদের শত সংকটের সর্বপ্রধান হল মূল্যবোধের সংকট। দায়িত্বটা শিক্ষক রাজনীতিবিদ সাহিত্যিক ব্যবসায়ী সাংবাদিক সুশীল সমাজ সবারই, কিন্তু দায়িত্বটা সবচেয়ে বেশী ধর্মগুরুদেরই। তাঁদের প্রতি ইসলামের আর্ত আহ্বান জানিয়ে শেষ করছি, আর আমাদের ঘৃণায় ঘৃণায় ক্ষত বিক্ষত বিভক্ত করবেন না – আমাদের হেদায়েত দিন, মূল্যবোধের আহ্বান করুন।
ওটাই ইসলাম।
হাসান মাহমুদ - Email:- This email address is being protected from spambots. You need JavaScript enabled to view it.