প্রয়াত গায়ক আইয়ুব বাচ্চুর বিরুদ্ধে ফেটে পড়েছেন আমাদের কিছু আলেম। বাচ্চু নাকি দোজখে যাবেন। কাউকে জাহান্নামে পাঠাবার আগে, নিজেদের জান্নাতে যাবার গ্যারান্টি পেলে ভালো হয়না কি ? ইসলামে নাকি সঙ্গীত হারাম। হালাল হারাম করার মালিক যিনি কিছুই ভোলেন না (ত্বাহা – ২০) এবং যিনি ইসলামকে পরিপূর্ণ করে দিয়েছেন (মায়েদা – ৩), কোরানে সেই আল্লাহ‘র দেয়া হালাল হারামের তালিকা কারা যেন অসম্পূর্ণ মনে করে অনেক নতুন হারাম যোগ করেছে।
ব্যাপারটা দুর্বোধ্য। অথচ ওয়াজ মাহফিলে হাজারো শ্রোতা তাদের কথাগুলোই ইসলামী বলে বিশ্বাস করেন। ইসলামে সঙ্গীত হারাম কিনা তা নিয়ে আলেমরাই বিভক্ত, ফলে জনতাও বিভক্ত। জাতির মানসে পরষ্পরবিরোধী এই বিরোধের সুরাহা হওয়া দরকার, ভিন্নমতের আলেমদের তত্ত্বতথ্য এবং মতামতও শোনা দরকার। কারণ সঙ্গীত আমাদের সাংস্কৃতিক শেকড়, সেখানে কোনও রকম দ্বিধা জাতিকে অতল গহ্বরে ফেলে দেবে।
আমাদের আধুনিক, পঞ্চকবি, লোকগীতি, ভাওয়াইয়া-ভাটিয়ালী-মুর্শিদী, ব্যাণ্ড, বিয়ে, বাউল ও ধান ভাঙার গান, বিভিন্ন ধর্মীয় সংগীত থেকে শুরু করে সাপ-ধরা বেদে ও ছাদ-পেটানো পেশার গান, দেবর-ভাবির পরিহাস, নানা-নাতির গম্ভীরা বা কবিয়ালের তাৎক্ষণিক গান-যুদ্ধ- আশ্চর্য সম্পদ। আর, একাত্তরে? একাত্তরে গান আমাদের ‘দৃপ্ত শ্লোগান, ক্ষিপ্ত তীর-ধনুক’।
কোরান-হাদিস-দলিলে যাবার আগে কিছু ভিন্নমতের বিশ্ব-বিখ্যাত বিশেষজ্ঞের কথা শোনা যাক। বিশ্বের অন্যতম সর্বোচ্চ ইসলামী নেতা ড. ইউসুফ কারজাভী, বিশ্বময় ইসলামী ব্যাংক, আন্তর্জাতিক বহু শারিয়া-সংগঠনের সর্বোচ্চ নেতা। তার বই ‘দ্য লফুল অ্যান্ড প্রোহিবিটেড ইন্ ইসলাম’ – এর ‘সিংইং অ্যান্ড মিউজিক’ অধ্যায় থেকে, পৃষ্ঠা ২৯৬-৩০০। এর পরেও কেউ গান হারাম বললে আমাদের সাথে নয়, সাধ্য থাকলে তার সাথে বিতর্ক করে তাকে পরাজিত করুন। প্রতিটি শব্দ গুরুত্বপূর্ণ, উদ্ধৃতি:
“সঙ্গীত এমন বিনোদন যাহা প্রাণে আনন্দ দেয়, হৃদয় তৃপ্ত করে এবং শ্রবণকে আরাম দেয়…. উত্তেজনাপূর্ণ না হইলে ইহার সহিত বাদ্যযন্ত্র থাকিলে ক্ষতি নাই…আয়েশা বলিয়াছেন যখন এক আনসারের সাথে এক মহিলার বিবাহ হইতেছিল তখন রসুল (সাঃ) বলিলেন, ‘আয়েশা, তাহারা কি চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা করিয়াছে ? আনসারেরা চিত্তবিনোদন ভালবাসে’ (বুখারি)।” ইবনে আব্বাস বলিয়াছেন আয়েশা তাহার এক আত্মীয়াকে এক আনসারের সাথে বিবাহ দিলেন। রসুল (সা.) আসিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, ‘তাহার সাথে কি কোনও গায়িকা দিয়াছ ?’ আয়েশা বলিলেন, ‘না।’ তখন রসুল (সাঃ) বলিলেন, ‘আনসারেরা কবিতা ভালবাসে। এমন কাউকে পাঠানো তোমার উচিত ছিল যে গাহিবে − আমরা আসিলাম তোমাদের কাছে, আমাদের সম্ভাষণ করো, আমরাও তোমাদের সম্ভাষণ করি’ (ইবনে মাজাহ), আয়েশা বলিয়াছেন- ঈদুল আজহা’র দিনে মিনা’তে তাহার সহিত দুইজন বালিকা ছিল যাহারা ‘দফ’ বাজাইয়া গান গাহিতেছিল। রসুল (সাঃ) মুখ চাদরে ঢাকিয়া তাহা শুনিতেছিলেন (হাদিসে আছে তিনি মুখ ঢেকে শুয়েছিলেন), আবু বকর আসিয়া বালিকাদিগকে বকাবকি করিলেন।
রসুল (সাঃ) মুখ বাহির করিয়া বলিলেন, ‘উহাদিগকে ছাড়িয়া দাও, আবু বকর, আজ ঈদের দিন।’ (বুখারী ও মুসলিম)।
ইমাম গাজ্জালী তাহার ‘এহিয়ে উলুম আল্ দ্বীন’ কেতাবে (‘গান শোনা’ অধ্যায়ে ‘অভ্যাস’ পরিচ্ছেদে) গায়িকা–বালিকার উল্লেখ করিয়াছে- ‘…ইহা নিশ্চিতরূপে প্রমাণ করে গান গাওয়া ও খেলাধূলা করা হারাম নহে…দলিলে আছে বহু সাহাবি ও পরের প্রজন্মের মুসলিম বিশেষজ্ঞরা গান শুনিতেন ও ইহাতে কোন দোষ দেখিতেন না। গবেষকদের মতে গান গাহিবার বিরুদ্ধে যেসব হাদিস আছে তাহা নির্ভরযোগ্য নহে।’
আইনবিদ আবু বকর আল্ আরাবি বলেন, ‘সঙ্গীত নিষিদ্ধের ব্যাপারে নির্ভরযোগ্য কোনওই হাদিস নাই।’ ইবনে হাজম (১১শ শতাব্দীর স্পেন খেলাফতের বিখ্যাত শারিয়াবিদ − লেখক) বলিয়াছেন, ‘এই বিষয়ে (সঙ্গীত নিষিদ্ধের বিষয়ে − লেখক) যাহা কিছুই লিখা আছে সকলই মিথ্যা ও ভেজাল।’
(সুরা লোকমান ৬-এর ব্যাপারে) ইবনে হাজম বলেন, “এই আয়াতে আল্লাহর পথ নিয়া ঠাট্টা করার অভ্যাসকেই আলাহ নিন্দা করিয়াছেন, উহাকে নহে যেই অলস কথাবার্তা মানুষ করে মানসিক প্রশান্তির জন্যই, কাউকে আলাহর পথ হইতে পথভ্রষ্ট করার জন্য নহে। সুরা ইউনুস আয়াত ৩২-এর ভিত্তিতে যাহারা বলেন সঙ্গীত যেহেতু ‘সত্য’ নহে তাই সঙ্গীত নিশ্চয়ই ‘মিথ্যা’, তাহাদের যুক্তিকেও ইবনে হাজম ভুল প্রমাণ করিয়াছেন।তাই যে ব্যক্তি আলাহ’র প্রতি দায়িত্ব পালন ও ভাল কাজের শক্তিলাভের জন্য চিত্তবিনোদনের উদ্দেশ্যে গান শোনে সে আলাহ’র অনুগত বান্দা এবং তাহার এই কর্ম সত্য। পক্ষান্তরে, যে ব্যক্তি আলাহ’র প্রতি বাধ্য বা অবাধ্য হইবার চিন্তা না করিয়া গান শোনে, সে নিরপেক্ষ ও ক্ষতিকর নহে এমন কাজ করে যেমন পার্কে যাওয়া বা হাঁটিয়া বেড়ানো, কিংবা জানালায় দাঁড়াইয়া আকাশ দেখা, কিংবা নীল বা সবুজ কাপড় পরা, ইত্যাদি। যাহা হউক, সঙ্গীতের ব্যাপারে কিছু সীমাবদ্ধতা আছে, যেমন গানের কথায় যদি মদ্যপানের প্রশংসা থাকে ও লোককে মদ্যপানে উৎসাহিত করা হয়, তবে উহা গাওয়া বা শোনা হারাম। গানের পরিবেশনাও উহা হারাম করিতে পারে যেমন গানের সাথে শারীরিক উত্তেজক অঙ্গভঙ্গি।” – উদ্ধৃতি শেষ।
মওলানা মওদুদি বলেছেন , “সঙ্গীত, নৃত্য ও চিত্রশিল্পকলা হইল অশ্লীল শিল্প ও কঠিনভাবে ইসলাম বিরোধী” − ‘এ শর্ট হিস্ট্রি অব্ দ্য রিভাইভালিস্ট মুভমেন্ট ইন্ ইসলাম’ পৃঃ ৩০। তাই ?
‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো’, হারাম ? ‘আমি বাংলার গান গাই’, ‘বাড়ির পাশে আরশিনগর’, ‘কান্দে হাছন রাজার মন ময়না’… অশ্লীল শিল্প ? বাংলার মা‘দের মধুকণ্ঠে ‘আয় আয় চাঁদমামা টিপ দিয়ে যা, চাঁদের কপালে চাঁদ টিপ দিয়ে যা’ – কঠিনভাবে ইসলাম-বিরোধী? কি হাস্যকর!
স্পষ্টতই, গানের কুৎসিৎ কথা, কুৎসিৎ অঙ্গভঙ্গি বা গানের অতিরিক্ত নেশায় জীবনের ক্ষতি ইত্যাদির সীমা টানেননি তারা, পুরো সঙ্গীতকেই ঢালাওভাবে বাতিল করেছেন কিছু হাদিস ও কোরানের দুটো আয়াতের উদ্ধৃতি দিয়ে। আয়াত দুটো হল (১) সুরা লোকমান ৬ − “একশ্রেণীর লোক আছে যারা মানুষকে আল্লাহ’র পথ হইতে গোমরাহ করার উদ্দেশ্যে অবান্তর কথাবার্তা সংগ্রহ করে…”, এবং (২) বনি ইসরাইল ৬৪ (আল্লাহ শয়তানকে বলছেন) −“তুই তাদের মধ্য থেকে যাকে পারিস স্বীয় আওয়াজ দ্বারা, অশ্বারোহী ও পদাতিক বাহিনী নিয়ে সত্যচ্যুত করে তাদেরকে আক্রমণ কর।”
তারা বলেন, সুরা লোকমান ৬-এর ‘অবান্তর কথাবার্তা’-ই নাকি ‘সঙ্গীত‘ (মওলানা মুহিউদ্দিনের কোরানের অনুবাদ, পৃঃ ৭৮৩ ও ১০৫৩-৫৪)। কি হাস্যকর। আম জিনিসটা আমই, জামও নয় কাঁঠালও নয়। ‘অবান্তর কথাবার্তা’ অবান্তর কথাবার্তাই, অন্যকিছু নয়। একই খেলা করা হয়েছে বনি ইসরাইলের ৬৪ নম্বর আয়াত নিয়েও ।
এর অনুবাদ করা হয়েছে:- “তুই তোর চেলাবেলা, লোক-লস্কর দ্বারা ও রাগ-রাগিনী গান-বাজনা ও বাদ্যবাজনা দ্বারা মানুষকে বিপথগামী করার চেষ্টা চালিয়ে যা।”
অনুবাদটা ডাঁহা মিথ্যা। সঙ্গীতের আরবি শব্দ “মুসিকি”, আয়াতটায় আছে ‘সাওত’ অর্থাৎ ‘আওয়াজ’। কিছু সত্যনিষ্ঠ অনুবাদও আছে, যেমন – “তুই সত্যচ্যুত করে তাদের মধ্য থেকে যাকে পারিস স্বীয় আওয়াজ দ্বারা…” – হাবিবুর রহমান।
তাদের হাদিসগুলো কারযাভী, আবু বকর আল্ আরাবি, ইবনে হাজম প্রভৃতি ইমামেরা সরাসরি বাতিল করেছেন যা ওপরে দেখিয়েছি, এবারে চলুন সেই বিশেষজ্ঞদের কথা শুনি যা আমাদের ইমামেরা বলেন না।
১. “রসুল (সাঃ) বিবাহ-অনুষ্ঠানে গানের শুধু অনুমতিই দেন নাই বরং বালিকাদের গান শুনিয়াছেন।এমনি এক অনুষ্ঠানে যখন তাহারা গাহিতেছিল − ‘আমাদের মধ্যে এক রসুল আছেন যিনি জানেন আগামীকাল কি ঘটিবে’ − তখন তিনি তাহাদিগকে থামাইয়া বলিয়াছেন ‘এই বাক্যটি বাদ দাও এবং গাহিতে থাক।’ ইহাকে শুধু বিবাহ- অনুষ্ঠানের অনুমতি মনে করিবার কোনই কারণ নাই।” (অর্থাৎ বিয়ের অনুষ্ঠান ছাড়াও গানকে নবীজী অনুমতি দিয়েছেন)। ক্যানাডার সুবিখ্যাত ইমাম শেখ আহমেদ কুট্টি।
২. “হজরত ওমর(রঃ)-এর আবাদকৃত শহরের মধ্যে দ্বিতীয় হইল বসরা। আরবি ব্যাকরণ, আরূয শাস্ত্র এবং সঙ্গীতশাস্ত্র এই শহরেরই অবদান” − বিখ্যাত কেতাব ‘আশারা মোবাশশারা’, মওলানা গরীবুল্লাহ ইসলামাবাদী, ফাজেল-এ দেওবন্দ, পৃষ্ঠা ১০৬।
৩. অখণ্ড ভারতের সর্বোচ্চ ইসলামি নেতাদের অন্যতম, ভারতীয় কংগ্রেসের দু’দু’বার সভাপতি, কোলকাতার ঈদের নামাজ পড়ানোর পেশ ইমাম মওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেছেন : “পয়গম্বর দাউদ (আঃ)-এর কণ্ঠস্বর অত্যন্ত মিষ্টি ছিল। তিনি সর্বপ্রথম হিব্রু সঙ্গীতের সঙ্কলন করেন ও মিশরের ও ব্যাবিলনের গাছ হইতে উচ্চমানের বাদ্যযন্ত্র উদ্ভাবনা করেন” − তাঁর তর্জুমান আল্ কুরাণ, ২য় খণ্ড পৃঃ ৪৮০।
৪. যাঁদের পড়ার ধৈর্য নেই কিন্তু নাটক-সিনেমার পোকা তাঁরা দেখুন পাকিস্তানি ছায়াছবি ‘খুদা কে লিয়ে’ − নাসিরুদ্দীন শাহ্ দুর্ধর্ষ অভিনয় করেছেন দরবেশের ভূমিকায়। ওটাতেও সহি হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে দেখানো হয়েছে ইসলামে গান হারাম নয়।
৫. ইমাম গাজ্জালী: “নবী করিম (সাঃ) হযরত আবু মুসা আশআরী (রাঃ) সম্পর্কে বলিয়াছেন − তাঁহাকে হযরত দাউদ (আঃ) এর সংগীতের অংশ প্রদান করা হইয়াছে” − মুরশিদে আমিন, পৃষ্ঠা ১৭০ − এমদাদিয়া লাইব্রেরী।
ফেরা যাক প্রয়াত আইয়ুব বাচ্চুর কাছে। “কথাগুলো বলে তিনি হাউমাউ করে কাঁদতে শুরু করে দিলেন….. অনুরোধ করলেন যে উনি জীবিত থাকা অবস্থায় আমরা যাতে ওনার এই আর্থিক সহযোগিতার কথা কাউকে না বলি”।
হ্যাঁ, এরই নাম আইয়ুব বাচ্চু। গরীব মারা যাচ্ছে, ফেসবুকে এ খবর পেয়েই যিনি বারবার ছুটে যেতেন হাসপাতালে, তার লক্ষ লক্ষ টাকার গোপন দানে বেঁচে গেছে অনেক গরীবের প্রাণ। এরই নাম আইয়ুব বাচ্চু যিনি নাকি দোজখে যাবেন। তার মৃত্যুর পর আজ যে ইমামেরা তাঁর গীবত করছেন (তাদের উৎকট ভঙি আর কদর্য ভাষার কথা নাই বা বললাম) তারাও নিশ্চয় গোপনে লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে অনেক গরীবের প্রাণ বাঁচাচ্ছেন, তারা গত হলে আমরা তাও জানব আশা করি!
আর, বাড়াবাড়ি করা ? ‘সঙ্গীত হারাম’ বলাও তো সেই বাড়াবাড়ি – মায়েদা ৭৭, নিসা ১৭১ ও বিদায় হজ্বের ভাষণ। সঙ্গীত আমাদের সসীম জীবনে এক টুকরো অসীমের ছোঁয়া। গান যে ভালবাসে না সে মানুষ খুন করতে পারে। সঙ্গীত আজ বিশাল ইন্ডাস্ট্রি, সেখানে লক্ষ লোক পরিবার পালছেন, বাচ্চাদের বড় করছেন, প্রতিভার বিকাশ ঘটাচ্ছেন।
আলেমরা খেয়াল করছেন না যে, যা তারা বলছেন তা তাদেরই বিরুদ্ধে যায়। কারণ তারাই দাবি করেন ইসলাম ‘ফিতরাত’ এর অর্থাৎ স্বভাবের ধর্ম। তারা খেয়াল করছেন না, যে আদিকাল থেকে সঙ্গীত মানুষের ফিতরাত অর্থাৎ স্বভাব। মানুষ কখনোই সঙ্গীত ছাড়া থাকেনি, থাকবেও না। প্রমাণ অতীতের গুহার দেয়ালে-চিত্রে ও বর্তমানে বিশ্বব্যাপী সঙ্গীতের প্রবল বন্যায়। তাই প্রাকৃতিক আইনেই তাদের দাবি টিকবে না।
তাদের বলার অধিকার আছে, তারা বলেছেন, বলছেন, বলতে থাকুন, জাতি শোনেনি শুনবেনা। কিন্তু পরিবর্তন তাদের হাত দিয়েই আসবে, ধৈর্য্য ধরতে হবে। হ্যাঁ, গ্যাপ একটা আছে বটে। সাধারণত এরকম নিবন্ধের পাঠক তাদের ওয়াজে যান না এবং ওয়াজের শ্রোতারা এরকম নিবন্ধ পড়েন না।
তাই সমাজ এগোয় না কারণ চিন্তার সংঘাতই সামাজিক অগ্রগতির চালিকাশক্তি। সবাই যদি এরকম দলিলগুলো ওই আলেম ও তাদের শ্রোতাদের কাছে পৌঁছে দেন তবে সময়ের সাথে কিছুটা ফল আশা করা যায়।
আলেমরাও একদিন গত হবেন কিন্তু কিংবদন্তীর মৃত্যু নেই…
Email:- This email address is being protected from spambots. You need JavaScript enabled to view it.