হিন্দুদের পুজোতে শুভেচ্ছা - আলেমরা পরস্পর বিরোধী কেন??

 হিন্দুদের পুজোতে শুভেচ্ছা - আলেমরা পরস্পর বিরোধী কেন??  

হাসান মাহমুদ

ধর্ম দিয়ে মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টি করা যায়, আবার মানুষকে মানুষের কাছেও টেনে আনা যায়। কোনটা ভালো?

সম্প্রতি আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর ছেলে মাসুদ সাঈদী পিরোজপুরে বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের খোঁজখবর নিয়েছেন।  ওদিকে জামাতের কেন্দ্রীয় মজলিসে সূরার সদস্য অধ্যাপক মতিয়ার রহমান ঝিনাইদহে পূজামণ্ডপে গীতা পাঠ করে ভাইরাল হয়েছেন, ভিডিও- https://www.facebook.com/reel/1030860752074175 - । 

অনেক আলেম এই দুজনেরই ওপরে খাপ্পা হয়েছেন, কেননা তাঁদের মতে পূজামন্ডপে যাওয়াটাই সর্বোচ্চ গুনাহ শির্ক, গীতাপাঠ বা মন্ডপ পরিদর্শন করা তো দূরের কথা।   আলেমরা কি বোঝেন তাঁদের ভিন্নমত উম্মাহকে কি হিংস্রভাবে খন্ডিত বিভক্ত ক্ষতবিক্ষত করে?

ধর্ম দিয়ে মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টি করা যায়, আবার মানুষকে মানুষের কাছেও টেনে আনা যায়। কোনটা ভালো?

ARTICLE.png

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক পরিচালক ও দ্বারিয়ারপুর শরিফের পীর সাহেব অধ্যাপক হাসান আব্দুল কাইয়ুম বাংলাদেশের ইসলামী পত্রিকা দৈনিক ইনকিলাবে ০১ জানুয়ারি, ২০১৯ তারিখে প্রকাশিত "ইংরেজি নববর্ষ ও আমাদের সংস্কৃতি" নিবন্ধে লিখেছেন :-

https://m.dailyinqilab.com/article/176524/%E0%A6%87%E0%A6%82%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%9C%E0%A6%BF-%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7-%E0%A6%93-%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF

"আমরা যাকে ইংরেজি সন বা খ্রিষ্টাব্দ বলি, আসলে এটা হচ্ছে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার...........ডাইওনিসিয়াম একমিগুয়াস নামক এক খ্রিষ্টান পাদ্রী জুলিয়ান ক্যালেন্ডারের ৫৩২ অব্দে যিশু খ্রিষ্টের জন্ম বছর থেকে হিসাব করে এই খ্রিষ্টাব্দ লিখন রীতি চালু করেন"।

অর্থাৎ ইংরেজি নববর্ষ যীশুখ্রীষ্টের জন্মদিন হিসেবে খ্রিস্টানদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান, এই দিনে আমাদের ইসলামী পত্রিকাদুটি সবাইকে শুভেচ্ছা জানায়। তাহলে কেন প্রতি পুজো উৎসবে ফিরে আসে সেই পুরনো দাবি - "পূজার মন্ডপে যাওয়া যাবে না, পূজার নিরামিষ ভোগ খাওয়া যাবে না এমনকি শুভেচ্ছা জানালেও ঈমান থাকবে না"?

ধর্মীয় উৎসবের চারটে দিক (এক) স্কুল-কলেজ অফিস ছুটি- এ আনন্দ সবার, (দুই) মহা আনন্দে কেনাকাটা, উপহার প্রদান ও ভ্রমণে যাওয়া, এ আনন্দ সবার, (তিন) বিপুল অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে লাভবান ব্যবসায়ী, এ আনন্দ সবার, (চার) ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান - একমাত্র এটা শুধুমাত্র সেই ধর্মবিশ্বাসীদের।

ধর্ম দিয়ে মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টি করা যায়, আবার মানুষকে মানুষের কাছেও টেনে আনা যায়। কোনটা ভালো?

*************************

&&&&&&&&&&&&&&&&&&&&&&&&&&&&

  • দৈনিক সংগ্রাম-সম্পাদকীয়- প্রকাশিত: মঙ্গলবার ০১ জানুয়ারি ২০১৯ | প্রিন্ট সংস্করণ

          শুভ হোক ইংরেজি নববর্ষ

     ইংরেজি নতুন বছরের শুরুতে আমাদের সব দ্বন্দ্ব-বিবাদ, মলিনতা, রাজনৈতিক কলহ সব ঘুচে যাক,

     ধ্বংসাত্মক বা ক্ষতিকর প্রতিযোগিতা মিটে যাক এবং সবার মধ্যে সৃষ্টি হোক ভ্রাতৃত্ববন্ধনের সোপান।

*********************************************

দৈনিক সংগ্রাম - সু-স্বাগতম ইংরেজি নববর্ষ ২০২৪ -
https://www.dailysangram.com/post/544813-%E0%A6%B8%E0%A7%81-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A6%A4%E0%A6%AE-%E0%A6%87%E0%A6%82%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%9C%E0%A6%BF-%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A8%E0%A7%AA

 

Print