ইউনিফর্ম সিভিল কোড (UCC - সবার জন্য এক আইন) যেভাবে ইসলামিক মূল্যবোধ রক্ষা করে

ইউনিফর্ম সিভিল কোড (UCC - সবার জন্য এক আইন) যেভাবে ইসলামিক মূল্যবোধ রক্ষা করে - হাসান মাহমুদ

https://www.newageislam.com/islam-politics/uniform-civil-code-ucc-islamic-values-/d/130352 

আমার একাধিক নিবন্ধে ভারত-সরকারের কিছু সমালোচনা আমি করেছি কিন্তু "তিন তালাক"-এর মতো ভয়াবহ নারী-বিরোধী শারিয়া আইনকে অবৈধ করে আইন প্রণয়নের জন্য ভারত-সরকারকে ধন্যবাদ দিতেই হবে। না জানি কত হাজার লক্ষ মুসলিম নারীর জীবন ধ্বংস করেছে এই বিষাক্ত হিংস্র শারিয়া আইন। হাজার বছর আগে যা করা উচিত ছিল আমাদের আলেমদের তা এখন অমুসলিম অধ্যুষিত সংসদ করেছে। কি লজ্জা!

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইউনিফর্ম সিভিল কোড (ইউ-সি-সি)- এর প্রস্তাব করার পর ভারতে উত্তপ্ত বিতর্কের সুনামি বয়ে চলেছে।  অনেক মওলানা এর বিরুদ্ধে হুংকার দিয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন, কারণ এ আইন হলে নারীদের ওপর তাঁদের নিয়ন্ত্রণ কমে যাবে। এই প্রবন্ধে আমরা দেখব ইউ-সি-সি কিভাবে ইসলামি মূল্যবোধ রক্ষা করে। আমাদের বিশ্লেষণের মানদণ্ড হবে দুটো – (১) যা কিছু নিরপরাধ মানুষকে নিপীড়ন করে এবং/অথবা (২) কোরানের বিরুদ্ধে যায় তা আমরা তৎক্ষণাৎ প্রত্যাখ্যান করব, কারণ (ক) আল্লাহ চান ধর্মের ব্যাপারে আমাদের জীবন সহজ করতে (বাকারা ১৮৫ ও আরো দুটি আয়াত) এবং (খ) নবী (স) শুধুমাত্র সেটাই প্রচার করেছেন যা আল্লাহ তাঁর কাছে নাযিল করেছেন (হাক্কাহ:৪৪- ৪৬ ও আরো ১০টি আয়াত)।

এ নিবন্ধে মুসলিম নারীদের বিরুদ্ধে অজস্র শারিয়া-ষড়যন্ত্রের চারটি উদাহরণ দেখাচ্ছি যা ইউ-সি-সি দ্বারা নির্মূল হবে - (১) তিন তালাক (ইতিমধ্যে অবৈধ করে আইন বানানো হয়ে গেছে), (২) বিবাহবিচ্ছেদের সাক্ষী, (৩) অনিয়ন্ত্রিত বহুবিবাহ এবং (৪) মহিলাদের বিবাহ বিচ্ছেদের অধিকার। কিছু ইমাম নারীর ওপরে তাঁদের হিংস্র নিয়ন্ত্র হারানোর ভয়ে ইউসিসির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন। এজন্যই নবী (সঃ) বলেছেন "আমার উম্মাকে লইয়া আমার সর্বাপেক্ষা গভীর উদ্বেগ পথভ্রষ্টকারী ইমামদের লইয়া" - সুনান ইবনে মাজাহ ৫ম খণ্ড হাদিস ৩৯৫২।

উদাহরণ ১:- ইউ-সি-সি তিন তালাকের বিরুদ্ধে। এই মারাত্মক নারী-বিরোধী হিংস্র শরিয়া আইনটা বৈধ করা আছে হানাফী আইনের বই 'হেদায়া'-র ৩৫৩ পৃষ্ঠায় ও আল আজহার ইউনিভার্সিটি দ্বারা সত্যায়িত শাফি' আইনের বই 'উমদাত আল সালিক'-এর n.3.5 নম্বর আইনে। মুসলিম নারী ও শিশুদের জীবন ধ্বংস করা ছাড়াও এই বিষাক্ত আইনটা কোরানের দেয়া তালাকের পদ্ধতি লঙ্ঘন করে (সূরা বাকারা আয়াত ২২৯, ২৩০, ২৩২ ইত্যাদি। সেই পদ্ধতিতে তালাক পুরো হতে অন্তত দুমাসসময় লাগে যার মধ্যে স্বামী তালাক বাতিল করার সুযোগ পান। এই শারিয়া আইন স্বামীর সেই কোরানিক অধিকার হরণ করে কারণ তিনি একবার তিন-তালাক বললেই (বা টেক্সট, ভয়েস মেসেজ ইত্যাদি দ্বারা) তালাক পুরো হয়ে যায় এবং তিনি সেটা আর বাতিল করতে পারেন না। 

উদাহরণ ২ :- স্ত্রীর জীবন ও ভবিষ্যৎ নির্ভর করে ডিভোর্সের অবস্থার ওপর। শরিয়া আইনে স্বামীকে তালাকের সাক্ষী রাখতে হয় না - বিধিবদ্ধ ইসলামী আইন ১ম খণ্ড # ৩৪৪। তার মানে তিনি দাবি করতে পারেন যে তিনি তার স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন, তারপর ঠিক বিপরীত দাবি করুন এবং চক্রটি পুনরাবৃত্তি করুন। দরিদ্র স্ত্রী যে মানসিক আঘাতের মধ্য দিয়ে যায় তা কি আমরা কল্পনা করতে পারি? ইউ-সি-সি-তে বিবাহবিচ্ছেদের সাক্ষী রাখা বাধ্যতামূলক যা কোরানেরও নির্দেশ, সূরা ত্বালাক আয়াত ২:- "অতঃপর তাদের (ইদ্দতের) মেয়াদ শেষ পর্যায়ে পৌঁছলে তোমরা হয় তাদেরকে যথাবিধি (নিজেদের বিবাহাধীন) রেখে দেবে অথবা তাদেরকে যথাবিধি বিচ্ছিন্ন করে দেবে। ৪ আর নিজেদের মধ্য হতে ন্যায়নিষ্ঠ দু’জন লোককে সাক্ষী রাখবে। ৫ তোমরা আল্লাহর জন্য সঠিক সাক্ষ্য দিও।" অর্থাৎ এই তীব্র নারী-বিরোধী আইনটা কোরান-বিরোধী যা থেকে নারীকে রক্ষা করে ইউ-সি-সি।

উদাহরণ ৩:- ইউ-সি-সি-তে বহুবিবাহ নিষিদ্ধ, কোরান-রাসূল (সাঃ)-এরও এটাই নির্দেশ। মুসলিম পুরুষদের বহুবিবাহের সীমাবদ্ধ অধিকার নির্মমভাবে কুরআন এবং নবী (স) এর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে। আমি বরং বলব, মুসলিম পুরুষ ইচ্ছে হলেই একাধিক নারীদের যদি বিয়ে নাও করে তবু তার সেই অধিকারটাই তার স্ত্রীর প্রতি সন্ত্রাস। এ ব্যাপারে নবীর (স) সুন্নত কি? তাঁর কন্যা ফাতিমা (রাঃ) যখন সতীনের সম্ভাবনায় আক্রান্ত হন তখন তিনি হযরত আলীকে (র) দ্বিতীয় বিয়ে করতে দেন নি - একবার নয়, দুইবার। সহি বুখারি থেকে প্রমাণ (মদিনা বিশ্ববিদ্যায়ের ড. মুহসিন খানের অনুবাদ):- 

(ক) খণ্ড ৪ হাদিস ৩৪২ (সংশ্লিষ্ট অংশ) :-যখন আলী (র) আবু জাহেলের কন্যাকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন তখন রসূল (স) বললেন, "ফাতিমা আমার পক্ষ থেকে, এবং আমি ভয় পাচ্ছি যে সে তার ধর্মে (ঈর্ষার কারণে) পরীক্ষার সম্মুখীন হবে।- - - - - - " আমি কোন হালালকে হারাম ও হারামকে হালাল করিনা। তবে আল্লাহর কসম, আল্লাহর রাসূলের কন্যা এবং আল্লাহর শত্রুর কন্যা (অর্থাৎ আবু জাহেল) কখনই একত্রিত (এক পুরুষের স্ত্রী) হতে পারে না"।

(খ) খণ্ড ৭ হাদিস ১৫৭ (সংশ্লিষ্ট অংশ)   :- ইবনে মাখরামা বলেছেন তিনি রসূলকে (স) বলতে শুনেছেন বনু হিশাম ইবনে আল-মুগিরা তাঁকে অনুরোধ করেছে যেন তিনি তাদের মেয়ের সাথে আলী (র) বিয়ের অনুমতি দেন। কিন্তু আলী (র) ফাতিমাকে (র) তালাক না দেয়া পর্যন্ত তিনি সেই অনুমতি দেবেন না। কারণ ফাতিমা (র) তাঁর দেহের অংশ, ফাতিমা (র) যা ঘৃণা করেন তিনিও তা ঘৃণা করেন, ফাতিমাকে (র) যা আঘাত করে তা তাঁকেও আঘাত করে।  

কি মনে হয়।?

হ্যাঁ, বহুবিবাহ নারীকে আঘাত করে। তিনি নিজে মেয়েকে বহুবিবাহের আঘাত থেকে বাঁচিয়ে নেবেন আর কেয়ামত পর্যন্ত প্রতিটি মুসলিম নারীকে সেই আঘাতের মধ্যে রেখে দেবেন সেটা হয়না, সেটা রসূলের (স) ন্যায়বিচার নয়। পুরুষের ইচ্ছে হলেই বহুবিবাহ যদি আল্লাহ'র বিধান হত তাহলে তিনি আলী (রাঃ) কে থামাতে পারতেন না, এবং ফাতিমাও (রাঃ) তাঁর দ্বিতীয় বিয়েতে বহুবিবাহ নিয়ে আপত্তি করতে পারতেন না। তাঁরা তো কেবল কোরানের হুকুম মেনেছিলেন - নিসা আয়াত ৩ (কোরানে ওই একটি আয়াতেই বহুবিবাহের অনুমতি দেয়া আছে, তাও কঠিন শর্তসাপেক্ষে - এতিমদের মঙ্গল):-

 "যদি তোমরা ভয় কর যে ইয়াতীম মেয়েদের হক্ব যথাযথভাবে পূরণ করতে পারবে না, তবে সেসব মেয়েদের মধ্যে থেকে যাদের ভাললাগে তাদেরকে বিয়ে করে নাও দুই, তিন, কিংবা চারটি পর্যন্ত”। এ আয়াতের কারণ কি ? ওহুদ যুদ্ধে অনেক ছাহাবী নিহত হলে তাঁদের এতিম কন্যাদের কল্যাণ সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়।  (গ) আলী ইবনে আহমাদ আল-ওয়াহিদের (১০ শতক) "আসবাব আল-নুযুল" বইটি কুরআনের আয়াতের প্রসঙ্গে একটি খাঁটি বই। এর ৪৮ পৃষ্ঠায় আছে এই আয়াতের প্রেক্ষাপট:- "এ আয়াতটি এক অভিভাবক সম্পর্কে নাজিল হয়েছিল যার তত্ত্বাবধানে একজন এতিম ছিল যার কিছু সম্পদ ছিল ও তার অধিকার রক্ষা করার মতো কেউ ছিলোনা। হেফাজতকারী তার সম্পত্তির লোভে সেই এতিমকে বিয়ে দিতে অস্বীকার করে, তার ক্ষতি করে এবং তার সাথে খারাপ ব্যবহার করে"।  (ঘ) খণ্ড ৭ হাদিস ৩৫ :- "আয়েশা (র) বলেছেন এতিম মেয়েটি একজন ব্যক্তির জিম্মায় রয়েছে যে তার অভিভাবক, এবং সে তার সম্পদের কারণে তাকে বিয়ে করতে চায়। কিন্তু সে তার সাথে খারাপ ব্যবহার করে এবং তার সম্পত্তি ন্যায্য ও সততার সাথে পরিচালনা করে না।" 

অর্থাৎ বহুবিবাহের অনুমতিটা এতিমদের কল্যাণের সাথে এমনভাবে আটকে আছে যে এতিমের বিষয় না থাকলে এটি প্রযোজ্যই নয়। পুরুষতন্ত্রের নৃশংস কোরান বিরোধী ও নারীবিরোধী ও ক্রাইম এটা, এতিমদের কল্যাণ থেকে বহুবিবাহের অনুমতিটা আলাদা করে পুরুষের ইচ্ছামতো বহুবিবাহের অধিকার প্রতিষ্ঠা। এর সমর্থকরা ৮টি ভিত্তিহীন কুযুক্তি দেখান যার সবচেয়ে জোরালো হলো- বিশ্বে নারীর সংখ্যা পুরুষের চেয়ে বেশি। দাবীটা ডাঁহা ও নির্লজ্জ্ব মিথ্যা। "World sex ratio 2021" এর গুগল অনুসন্ধানে পাবেন :- "Aug 26, 2021 — Gender Ratio in the World in 2021 is 101.68 males per 100 females". অর্থাৎ প্রতি ১০০০০ নারীর বিপরীতে ১০১৬৮ জন পুরুষ অর্থাৎ পুরুষই বেশী।

তাহলে?

উদাহরণ ৪ :- UCC কোরান-রসূলের (স) দেয়া পুরুষ-নারীর বিবাহবিচ্ছেদের সমান অধিকার নিশ্চিত করে। কিন্তু শারিয়া আইনে শুধু স্বামীই তালাক দিতে পারে, তালাক পেতে হলে নারীকে "খুলা" আইনে শারিয়া আদালতে আবেদন করতে হয়। অথচ নবী (স) বা কুরআন কোথাও ইচ্ছার বিরুদ্ধে নারীদেরকে সংসার করতে বাধ্য করেননি বরং তাঁরা তারা নারীদেরকে কারোর উপর নির্ভর না করে তালাক দেওয়ার পূর্ণ অধিকার দেয়া আছে যদি তা স্বয়ং রাসূল (সাঃ)-এর ইচ্ছার বিরুদ্ধে যায় তবুও। এওজন্যই মিসরে আইন করা আছে স্ত্রী যদি যৌতুক ফেরত দেয় এবং স্বামীর বিরুদ্ধে সব আর্থিক অধিকার মওকুফ করেতবে তালাক পাবে।

(ক) বরিরার স্বামী মুগীথ এতো প্রেমময় ছিল যে বরিরা তাকে ত্যাগ করলে সে কেঁদে তার দাঁড়ি ভিজিয়ে ফেলেছিল। মওলানা মুহীউদ্দীনের অনূদিত বাংলা কোরানের ২৭১ পৃষ্ঠায় আছে আয়েশা (র)'র মুক্ত করা বাঁদী বরিরা স্বামী মুগীথের কাছ থেকে তালাক নেবার পর মুগীথ বরিরার বিহনে পাগলপারা হয়ে পড়লে রসূল (স) মুগীথকে আবার বিয়ে করার জন্য বলেন। উদ্ধৃতি:- "বরিরা আরোজো৯ করলেন - 'ইয়া রাসূলুল্লাহ ! এটি আপনার নির্দেশ হলে শিরোধার্য, পক্ষান্তরে সুপারিশ হলে আমার মন তাতে সম্মত নয়। রাসূলুল্লাহ (স) বললেন : নির্দেশ নয়, সুপারিশই। বরিরা জানতেন যে রাসূলুল্লাহ নীতির বাইরে অসন্তুষ্ট হবেন না। তাই পরিষ্কার ভাষায় আরয করলেন - তাহলে আমি এ সুপারিশ গ্রহণ করব না। রাসূলুল্লাহ (স) হৃষ্টচিত্তে তাকে তদবস্থায়ই থাকতে দিলেন"। এটা সহি বুখারী ৭ম খণ্ড হাদিস ২০৬-তেও আছে।

(খ) খন্ড ৭ হাদিস ১৯৯ :- সাবিতের স্ত্রী জমিলা নবীর কাছে এসে বললেন, "হে আল্লাহর রসূল! আমি সাবিতকে তার চরিত্র বা ধর্মের কোন ত্রুটির জন্য দায়ী করি না, তবে আমি ভয় পাচ্ছি যে আমি আল্লাহর নেয়ামতের অকৃতজ্ঞ হতে পারি।" তখন রসূল (স) বললেন, 'তুমি কি তাকে তার বাগান ফিরিয়ে দিবে'? (বাগানটা দেনমোহরের ছিল) জমিলা রাজী হল, রসূল (স) তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ কার্যকর করলেন।  

(গ) খণ্ড ৭ হাদিস ১৮৮ -- আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ আল্লাহর রসূল আমাদেরকে (তাঁর সাথে থাকার বা তালাক দেওয়ার) বিকল্প দিয়েছিলেন এবং আমরা আল্লাহ ও তাঁর রসূলকে বেছে নিয়েছিলাম"। সুতরাং, আমাদের সেই বিকল্পটি দেওয়াকে তালাক হিসাবে বিবেচনা করা হয়নি। (ঘ) এই হাদিসটি আল আহযাবের ২৮ নং আয়াতের সাথে সম্পর্কিত:- "হে নবী! নিজ স্ত্রীদেরকে বল, তোমরা যদি পার্থিব জীবন ও তার শোভা চাও, তবে এসো আমি তোমাদেরকে কিছু উপহার সামগ্রী দিয়ে সৌজন্যের সাথে বিদায় দেই"।  (ঙ) নিসা ১৯ :- "হে ঈমানদারগণ! তোমাদের জন্য নারীদের তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে উত্তরাধিকারী হওয়া জায়েজ নয়”। Quran.com-এ ব্যাখ্যা:- "উদাহরণস্বরূপ, একজন পুরুষ একজন মহিলা আত্মীয়কে (যেমন তার বোন বা মা) বিয়ে করতে বাধা দেবে যাতে সে তার সম্পত্তি নিজের জন্য সুরক্ষিত করতে পারে"। এটা করতে নিষেধ করা হয়েছে।

উপসংহার:-

অর্থাৎ কোরান-রসূল (স) কোথাও নারীকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে সংসার করতে বাধ্য করেননি বরং তাঁরা নারীকে কারো ওপর নির্ভর না করে তালাক দেবার পূর্ণ অধিকার দিয়েছেন যা শারিয়া আইন হরণ করেছে। ইসলামের নামে এটা সহ অন্যান্য অনেক রকমের নারী-নিপীড়ন বন্ধ করবে ইউসিসি। মানুষ এবং সংস্কৃতির বিশাল বৈচিত্র্যের কারণে ভারতে প্রক্রিয়াটি খুব জটিল হবে। কিন্তু এর কোনো বিকল্প নেই; সমস্ত সভ্য দেশ এর মধ্য দিয়ে গেছে এবং সমাজ ব্যাপকভাবে উপকৃত হয়েছে। মুসলমানদের এটি সম্পর্কে অতিরিক্ত সংবেদনশীল হওয়া উচিত নয়, আমরা মুসলমানরা ইউসিসির অধীনে কানাডা এবং পশ্চিমে নিখুঁত ইসলামিক জীবনযাপন করতে পারি।

Print