• Home
  • Articles
  • Islamic :: Bangla
  • ক্রিমিন্যালস অফ ইসলাম - (ইসলামের অপরাধীরা) - ড. শাব্বির আহমেদ

ইসলামে বহুবিবাহের নামে কোরান রসূল (স) ও নারীদের সাথে প্রতারণা

ইসলামে বহুবিবাহের নামে কোরান রসূল (স) ও নারীদের সাথে প্রতারণা

হাসান মাহমুদ

১৩টি মুসলিম-প্রধান দেশে বহুবিবাহ নিষিদ্ধ কারণ ওটা কোরান রসূল (স) মোতাবেকই নিষিদ্ধ 
1. তিউনিসিয়া, 2. আলবানিয়া, 3. কসোভো, 4. আজারবাইজান, 5. বসনিয়া,  6. হারজিগোভিনা, 7. সিয়েরা লিওন, 8. তাজিকিস্তান
9. তুর্কমেনিস্তান, 10. কিরঘিজস্থান, 11. উজবেকিস্তান, 12. তুরস্ক ও  13. গিনি প্রজাতন্ত্র।  

কোরানে মুসলিম পুরুষের বহুবিবাহের অবাধ অনুমতি আছে মাত্র একটা আয়াতে, সূরা নিসা আয়াত ৩। ওহুদ যুদ্ধে অনেক সাহাবী নিহত হলে অনেক এতিম বালিকার স্বার্থরক্ষার জন্য ওটা ছিল একটা তাৎক্ষণিক সমস্যার শর্তযুক্ত তাৎক্ষণিক সমাধান। কিন্তু "এতিম বালিকার স্বার্থরক্ষার" ওই শর্তটাই গায়েব করে পুরুষের এককালীন চার বৌ-এর বিধান প্রতিষ্ঠা করেছে পুরুষতন্ত্র। সেজন্যই অতীত বর্তমানে বহু ইসলামিক স্কলার এর প্রতিবাদ করেছেন। কারণ আয়াতটার কারণ ও প্রেক্ষাপট, যা বিবি আয়েশা (রা) বলে গেছেন, সেটা লুকিয়ে ফেলা হয়েছে। পুরুষের এই অধিকার সরাসরি কোরানেরও বিরোধী রসূলেরও (স) বিরোধী এবং সেই সাথে প্রচন্ড নারী বিরোধী তো বটেই। কোরান মোতাবেক পুরুষের বহুবিবাহের অধিকার এতিমের স্বার্থের সাথে অবিচ্ছেদ্য ভাবে জড়িত। সেজন্যই যখন হযরত আলী (রা) দ্বিতীয় বিয়ে করতে উদ্যত হলেন তখন রসুল (সা) তাঁকে বাধা দিয়ে বিরত করলেন - একবার নয় দুইবার। তিনি খোদার কসম দিয়ে বলেছেন তিনি হালালকে হারাম ও হারামকে হালাল করবেন না। পুরুষের বহুবিবাহের যে শর্তহীন ও অবাধ অধিকার আমরা দেখি, সেটা আল্লাহর দেওয়া হলে তিনি বিবি ফাতেমা (রা) হযরত আলী (রা) কে বাধা দিতে পারতেন না।

এটাও মনে রাখতে হবে, সূরা নিসা আয়াত ৬ মোতাবেক নারীর বিয়ের বয়স তখনই হয় যখন তারা নিজেদের সম্পত্তি দেখভাল করার মতো জ্ঞানবুদ্ধি অর্জন করে, যা নাবালিকার পক্ষে সম্ভব নয়। কাজেই ইসলামে বাল্যবিবাহ নিষিদ্ধ এটা জেনারেল রুল, নিসা ৩ মোতাবেক এতিম নাবালিকাকে বিয়ের অনুমতি ব্যতিক্রম মাত্র,  একটা তাৎক্ষণিক সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধান মাত্র। 

বহু বিবাহের পক্ষের প্রতিটি যুক্তি প্রতারণামূলক ও ভিত্তিহীন। যেমন প্রধান যুক্তি হল নারীর সংখ্যা পুরুষের চেয়ে বেশি। এ দাবী সত্যি হলে দুনিয়ায় প্রতি ১জন পুরুষের বিপরীতে ৪ জন নারী হবার কথা। অথচ:- 

(1) "Male-Female Ratio of the World" - সার্চ করলে পাবেন:- "102 men for 100 women - The number of men and women in the world is roughly equal, though men hold a slight lead with 102 men for 100 women (in 2020). More precisely, out of 1,000 people, 504 are men (50.4%) and 496 are women (49.6%)".

অর্থাৎ মোটামুটি ১০১ জন পুরুষের বিপরীতে ১০০ জন নারী - অর্থাৎ পুরুষের সংখ্যাই বেশী।  ইরানের মতো বেশ কিছু দেশে পুরুষের সংখ্যাই বেশী, চীনে নারীর চেয়ে পুরুষ সাড়ে তিন কোটি বেশি। 

(2) "Male female ratio in Bangladesh 2023" সার্চ করলে পাবেন:- "According to the Census, there are more females (50.43%) than males (49.51%) " -

অর্থাৎ প্রতি হাজারে মোটামুটি নারী ৫০৫ ও পুরুষ ৪৯৫। এ দিয়েও চার কেন দুই স্ত্রীকেও বৈধতা দেয়া যায়না।

বিস্তারিত ইসলামী দলিল-প্রমাণ সজল রোশনের সাথে আমার এই ভিডিওতে:-
https://www.youtube.com/watch?v=pV-UQTwp6SA

আমার "শারিয়া কি বলে, আমরা কি করি" বইয়ের "চার বৌ" অধ্যায়ে আরো তথ্য দেয়া আছে, free download:-

https://hasanmahmud.com/index.php/books/sharia-ki-bole

Print