হাদিসের সত্যতা প্রমাণ করতে জনসম্মুখে বিখ্যাত আলেমের বিষপান !!

DRINING_POISON_TO_PROVE_HADIS.jpg

বুখারী ৭ম খন্ড হাদিস ৩৫৬:- “যে ব্যক্তি প্রতি সকালে ৭টি আজওয়া খেজুর খায় তার ওপর বিষ  ও জাদু কোন প্রভাব ফেলতে পারেনা” – (সহি মুসলিম# ৫৮০১ -একই রকম হাদিস)। খ্রিস্টানরা এই হাদিসকে চ্যালেঞ্জ করলে খ্যাতনামা আলেম শেখ আসরার রশিদ সে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে ম্যানচেস্টার ইউনিভার্সিটিতে বিতর্ক অনুষ্ঠানে (১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০) সবার সামনে “ইঁদুর মারা বিষ” পান করেন এবং অক্ষত থাকেন। ফলে খ্রিস্টানরা “পরাজিত” হয়, অনুষ্ঠানের ভিডিও:- https://www.youtube.com/watch?v=ucB_ovdB5tU

এ ঘটনায় আলেম শাহিদ আলী উদ্বিগ্ন হয়ে ব্যক্তিগতভাবে শেখ আসরারকে জনসমক্ষে তওবা করতে ও ক্ষমা চাইতে বলেন। কিন্তু শেখ আসরার সে পথে না গিয়ে বরং আলেম শাহিদ আলীকে বলেন বিষয়টা গোপন রাখতে এবং জনসম্মুখে প্রকাশ না করতে। এছাড়া শেখ আসরার বিভিন্ন জায়গায় ওই বিতর্কের ভিডিও প্রচার করে "হাদিসের সত্যতা" প্রমাণ করতে থাকেন। এতে আলেম শাহিদ আলী ইউটিউবে শেখ আসরারকে প্রতারক দাবি করে কয়েকটা সিরিয়াস প্রশ্ন তুলেছেন (এর জবাবে শেখ আসরারের কোন বক্তব্য খুঁজে পাইনি, কেউ পেলে জানাবেন):-

** - (১) বিতর্কের আয়োজকরা আলেম শাহিদ আলীকে জানিয়েছেন যে শেখ আসরার সর্বসমক্ষে যা খেয়েছিলেন তা মোটেই বিষ ছিল না, সেটা ছিল অ্যাসিডিটির সহজলভ্য ওষুধ "মিল্ক অফ ম্যাগনেসিয়া",

** - (২) এই নাটক করে সহি বুখারীকে সত্য প্রমাণ করার অপচেষ্টায় শেখ আসরার সারা দুনিয়াকে প্রতারিত করেছেন,

** - (৩) সেখানে উপস্থিত খ্রিস্টান অভিযোগকারিদের কেউ তখন সবার সামনে সেই বোতল থেকে পান করলে বেঁচে থাকতো, শেখ আসরার ও ইসলাম অপদস্ত হতেন,

**- (৪) শেখ আসরারের এই "বিষপান"-কে বিশ্বাস করে তাঁর লক্ষ লক্ষ ফলোয়ারের যে কেউ এই হাদিসের ভিত্তিতে বিষপান করে মারা যেতে পারে।

Did Asrar Rashid ACTUALLY Drink Rat Poison?- https://www.youtube.com/watch?v=UYYWu1ZXM9U

আলেম শাহিদ আলীর আরো ভিডিয়ো :-
(A)  ০৭ নভেম্বর ২০২১ - "Shahid Ali Barelwi Exposes Asrar Rashid Barelwi :- https://www.youtube.com/watch?v=CUctvQBQZ84&t=53s
(B)  ১৯ আগস্ট ২০২৩ - "Debate Challenge to Asrar Rashid":- https://www.youtube.com/watch?v=jRZ24SXi53U

ইন্টারনেটের কল্যাণ্যে হাদিসের দুর্বলতার ব্যাপারে বিশ্ব-মুসলিম যতই সচেতন হচ্ছে, রক্ষণশীল আলেমরা ততই মরিয়া হয়ে উঠছেন। কিন্তু এদিকে মাত্র ১৯ বছর বয়সী ইউটিউব ও ২০ বছর বয়সি ফেসবুকের বজ্রাঘাতে একটু একটু করে ভেঙে পড়ছে ১৪০০ বছরের অন্ধবিশ্বাস। আর মাত্র দু-তিন প্রজন্ম, তারপরেই ধ্বসে যাবে হাদিসের ওপর বিশ্ব-মুসলিমের আত্মঘাতী অন্ধ নির্ভরতা…………….

প্রশ্নবিদ্ধ হাদিসের ২৫টি উদাহরণ – পর্ব ১ :-https://hasanmahmud.com/.../islam.../291-2024-06-14-15-58-25

Print