অসুখ হলে আমরা ডাক্তারের কাছে যাই কিন্তু তিনি প্যাঁচ কষলে তা ঠেকানো তো দুরের কথা আমরা তো টেরও পাই না- যেমন অনাবশ্যক হ্যানো টেষ্ট ত্যানো টেষ্ট, আরো বেশীদিন তাঁর ক্লিনিকে থাকতে হবে ইত্যাদি। সবই টাকা খাবার চক্কর। একই ব্যাপার ঘটেছে ইসলামেও, রাজনৈতিক আর নারী-বিরোধী পুরুষতান্ত্রিক স্বার্থে ধর্মটাকে এমন প্যাঁচানো হয়েছে যে "সিরাতুল মুস্তাকিম" (সহজ সরল পথ) হয়ে গেছে "সিরাতুল জিলাপী" (জিলাপীর মতন প্যাঁচানো পথ)। প্রমাণ? প্রমাণ অজস্র - শত শত, হাজার হাজার। যেমন ধরুন, আমরা বিশ্বাস করি বিদায় হজ্বে নবীজী বলেছেন তিনি রেখে যাচ্ছেন কোরান ও তাঁর সুন্নাহ - এ দু'টো ধরে রাখলে আমরা কোনদিন পথভ্রষ্ট হবনা। কিন্তু আমাদের সুন্নী হাদিস (প্রায় ২৩০০০, শিয়াদের আল্ কাফি'র ১৬০০০ হাদিস ধরলে ৩৯০০০ হয়) পড়ে দেখি ভালো হাদীসের সাথে মিশে আছে রাজ্যের উদ্ভট, অপ্রয়োজনীয়, অবৈজ্ঞানিক, হাস্যকর ও অমানবিক ও হিংস্র হাদিস। উদ্ভট ও হাস্যকর হাদিস যেমন গিরগিটি ও বানরের পরকীয়া (বুখারী ৪ -১৮৮, ইবনে মাজাহ ৪-৩২৩০) নিয়ে সমস্যা নেই কারণ ওতে আমাদের কিছু এসে যায় না। বিপদের কথা হলো, পুরুষতন্ত্র ঠিকই জানত কোরান নিয়ে তারা বেশী খেলতে পারবে না - কাজেই "নবীজী বলিয়াছেন" বলে নারী-বিরোধী শরিয়া আইনগুলোকে তারা সাফল্যের সাথেই বৈধ করেছে যেমন নারী নেত্রীত্বের বিরুদ্ধে বুখারী ৫-৭০৯ ইত্যাদি। ইবনে আবি হাতিম-এর মত মুসলিমেরা সোচ্চার প্রতিবাদ করেছিলেন হাদিসের এই ভয়াবহতার বিরুদ্ধে সেই ৯ম শতাব্দীতেই, এখন করছেন “আহলে কোরান” দল।
কি রেখে গিয়েছিলেন রসুল? এটাচমেন্ট দেখুন সহি হাদিস থেকে, আকাশ থেকে পড়বেন। এক রসুল, এক বিদায় হজ্বের এক ভাষণ, তিনটে ভিন্ন রিপোর্ট!! নবীজী রেখে গেলেন ১. শুধুই কোরান, ২. কোরান ও তাঁর সুন্নাহ (৩) কোরান ও তাঁর প্রজন্ম (যার ওপরে শিয়াদের ইসলাম প্রতিষ্ঠিত)। অংকের হিসেবে বলে নিশ্চয়ই এই তিনটের একটা সত্য বাকি দুটো মিথ্যা, কিংবা এই তিনটের তিনটেই মিথ্যা। এর কোনটা বিশ্বাস করবেন আপনি এবং কেনই বা করবেন? এ তিনটের একটা সত্য হলে কোনটা সেটা? কেন হজরত ওমর উন্মুক্ত ঘোষণা দিয়েছিলেন (বুখারী ১-১১৪)-"শুধু কোরানই আমাদের জন্য যথেষ্ট"? কেন তারিখ আল্ তাবারিতে (৯ম খণ্ড পৃষ্ঠা ১১৩) আছে ওই একই কথা – “শুধুই কোরান”?
নাহ, আমি "শুধুই কোরান" আন্দোলনের সাথে জড়িত নই। মানুষ হাদিসে বিশ্বাস করে করুক, শুধু মানুষের ওপর অত্যাচার না হলেই হলো।
বাকি প্রমাণ পরে দেখাব, একসাথে বেশী খেলে বদহজম হয়ে যাবে।