একাত্তরেই ছিল

 

আজকে তোদের যা কিছু চাই, একাত্তরেই ছিল,
“বাংলাদেশী” নামের বড়াই একাত্তরেই ছিল।

ঐক্যবোধের শক্ত জাতি, মুল্যবোধের ভক্ত জাতি,
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিবোধ, একাত্তরেই ছিল,
ধর্মচোরার অধর্ম রোধ, একাত্তরেই ছিল।

শিকল পরা পায়ের নাচন, শিকল ভাঙ্গার মরণ-বাঁচন,
দীপ্ত ভবিষ্যতের বাণী, ক্ষিপ্ত ধরা কালনাগিনী,
তৃপ্ত বিজয়-মগ্ন মানব, একাত্তরেই ছিল,
ভগ্ন হত নগ্ন দানব একাত্তরেই ছিল।

নষ্ট পাকি’র ভ্রষ্ট খোয়াব, বজ্রমুষ্ঠি পষ্ট জওয়াব,
জীবন-মৃত্যু পায়ের ভৃত্য, মুক্তিপাগল প্রলয়-নৃত্য,
জন্মসুখের যন্ত্রণা তোর একাত্তরেই ছিল,
ক্ষণিক পাওয়া পরশপাথর একাত্তরেই ছিল.

মুক্ত দেশের সুস্মিতলোক, বিশ্ববাসীর বিস্মিত চোখ,
দিব্যলোকের সেই বরাভয়, দিগ্বলয়ের মুক্ত অভয়,
নিঃস্ব জাতির বিশ্ববিজয়, একাত্তরেই ছিল,
অভ্রভেদী সেই পরিচয়, একাত্তরেই ছিল।

ঐ মহাকাল দিগ্বিদিকে, সেই ইতিহাস যাচ্ছে লিখে,
রক্তস্নাত পবিত্র দেশ একাত্তরেই ছিল,
ভবিষ্যতের দিক্নির্দেশ একাত্তরেই ছিল।

ঐ যে জ্বলে একাত্তরের মরণজয়ী শিখা
পথ-ভোলাকে পথ দেখানোর আলোকবর্তিকা।

হাসান মাহমুদ
১০ই ডিসেম্বর ৪১ মুক্তিসন (২০১১)
 

Print