ধর্মনিরপেক্ষ বনাম ইসলামী রাষ্ট্র (১): প্রেক্ষাপট ক্যাসিনো ক্রাইম

03 EidCongragation BaitulMukarram 090813 1170x660

উন্নয়ন-অন্যায়নের উথাল পাথাল ঘটনা-দুর্ঘটনায় ক্ষতবিক্ষত জাতির মন মগজ। ক্যাসিনো-ক্রাইমে চলছে হরেক রকম “লীগ”-এর রাঘব বোয়ালদের ধরপাকড়। এই প্রেক্ষাপটে ওয়াজ মাহফিলে আবারো উঠে এসেছে সেই পুরোনো দাবি, দেশ ক্রাইমে ছেয়ে গেছে কিন্তু কোনো ক্রাইমই উচ্ছেদ হবেনা কারণ বাংলাদেশ ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র যা ধর্মহীন ও ধর্মবিরোধী ‘কুফরি আকিদা’। সব ক্রাইম উচ্ছেদ হবে ইসলামী রাষ্ট্রে। তিতিবিরক্ত ক্রুদ্ধ ও বিকল্প-সন্ধানী গ্রামবাসীরা সেটা বিশ্বাস করছে। অসংখ্য আলেমদের সবাই ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের বিরোধী এবং ইসলামী রাষ্ট্রের সমর্থক। শত শত ওয়াজে কোটি গ্রামবাসীর ওপর তাদের ব্যাপক প্রভাব আজ এড়িয়ে যাওয়া যাচ্ছে কিন্তু ভবিষ্যতে যাবেনা। তাদের ওপর মওলানাদের সম্মান ও প্রভাব শক্তিশালী, মানুষের জন্মের আজান থেকে বিয়ের দোয়া হয়ে মৃত্যুর জানাজা পৰ্যন্ত তাদের কাছে বাঁধা। আমি গ্রামে জন্মেছি বড় হয়েছি, এখনো ফোনে কৃষক বাল্যবন্ধু ও আত্মীয়দের সাথে যোগাযোগ রাখি। আগে তারা নববর্ষ, বসন্তবরণ, ২১ শে, ২৬শে আর ১৬ই উদযাপন করত, কিন্তু এখন করেনা কারণ “হুজুরে কইছে ওইডা শির্ক”।

অলক্ষ্যে বদলে যাচ্ছে সমাজ।

এ নিবন্ধ ধর্মনিরপেক্ষতা ও ইসলামী রাষ্ট্রের দাবি নিয়ে। লক্ষ্যণীয়, পশ্চিমা দেশে আমরা ইসলাম নিয়ে ভদ্রভাবে বিতর্ক-আলোচনায় অভ্যস্ত। ক্যানাডিয়ান টিভিতে আজহারী মওলানার সাথে কয়েকবার শারিয়া নিয়ে তুমুল তর্কবিতর্কের পরে আমরা একসাথে অনেক হাসিঠাট্টা করেছি। বাংলাদেশে সে আবহ নেই। বিভিন্ন মতামতের শালীন সংঘাতই অগ্রগতির মূল চালিকাশক্তি এবং মুসলিমদের গঠনমূলক সমালোচনা ইসলামের সমালোচনা নয়, এটা কেউ না বুঝলে কিছু করার নেই।

(১) বর্তমান বাস্তবতা

ধর্মনিরপেক্ষতা আস্তিকতা বা নাস্তিকতা নয়। ডিকশনারি মোতাবেক ধর্মনিরপেক্ষতা হল এমন রাষ্ট্রব্যবস্থা যা রাষ্ট্রযন্ত্রে ধর্মবিশ্বাসকে প্রত্যাখ্যান করে। ধর্মীয় রাষ্ট্রের শতাব্দী ধরে অত্যাচারের বিরুদ্ধে ক্রুদ্ধ জনগণ সেটাকে উৎখাত করে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা করেছিল, তাই স্বাভাবিকভাবেই বলা ছিল রাষ্ট্রযন্ত্রে ধর্মের স্থান নেই। সময়ের সাথে শব্দটার অর্থ উল্টো হয়ে গেছে। ঠিক যেমন ‘মীর জাফর’ নামটার অর্থ চমৎকার কিন্তু এখন এতই ঘৃণিত যে কেউ ওই নাম রাখেনা। বর্তমানে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রগুলো ধর্মের বিরোধী তো নয়ই বরং সব ধর্মকে সহায়তা করে। আমাদের ধর্মনিরপেক্ষ সরকার (ক) বানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামি ফাউণ্ডেশন, (খ) বায়তুল মুকাররমের সমস্ত খরচ দেয়, (গ) তবলিগ জামাতের জমি দিয়েছে, (ঘ) অজস্র অনুদান দিয়েছে এবং দিচ্ছে মসজিদ মাদ্রাসায়, (ঙ) সরকারি খরচে হজ করছেন হাজারো মানুষ, (চ) দেশে  ৫৬০টি মডেল মসজিদ বানানো হচ্ছে ইত্যাদির লম্বা তালিকা। পশ্চিমা সরকারগুলো বাধা দেয়নি হাজার হাজার মসজিদ ও ইসলামি সংগঠন বানাতে, বরং তাদের অজস্র টাকা ও আইনি সহায়তায় মুসলিম ইমিগ্র্যান্ট, ইসলামি সংগঠন, মসজিদ-মাদ্রাসা, ওয়াজ-মহফিল, রেডিও-টিভি চ্যানেল, এমনকি শারিয়া ব্যাঙ্ক, শারিয়া মিউচুয়্যাল ফাণ্ড, শারিয়া-ইকুয়িটি ইত্যাদি গত কয় দশকে বেড়েছে কয়েক গুণ। ইসলামী রাষ্ট্রের সমর্থক দৈনিক নয়া দিগন্ত বলছে-

“জার্মানিতেই বর্তমানে আড়াই হাজারের ওপর মসজিদ রয়েছে। সে-দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন তার সরকার জার্মানিতে আরো মসজিদ তৈরি করবে। একই ঘোষণায় তিনি এ’ও জানান, জার্মানীর সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় জার্মান ভাষায় ইসলাম শিক্ষা দেয়া হবে … এ বোধোদয় ফরাসি প্রেসিডেন্ট সারাকোজির মধ্যেও এসেছে … উদ্যোগ নিয়েছেন যাতে তিনি ফ্রান্সে ইসলামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপনে অর্থ সহায়তা দিতে পারেন। ব্রিটেন ইতোমধ্যে মুসলমানদের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে অর্থ সাহায্য প্রদান করেছে … ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ‘ইতালিয় ইসলামি সংহতকরণ’ নামে ইতালিতে মুসলমানদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরকারের পক্ষ থেকে অনুদান চালু করেছেন। এভাবে ইউরোপের প্রায় সব দেশই রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলামের পৃষ্ঠপোষকতায় নিজেদের সম্পৃক্ত করেছে”। ২৩শে জুলাই ২০০৮, ‘ইউরোপ ও ইসলাম’

অর্থাৎ ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র আসলে ধর্মের সহায়তাকারী। ধর্মনিরপেক্ষতা রাষ্ট্র চালানোর একটা পদ্ধতি মাত্র। ওগুলো সংসদে বসে বানিয়েছেন এবং সমাজ-বিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে পরিবর্তন করছেন জনগণের নির্বাচিত উচ্চশিক্ষিত সমাজবিজ্ঞানী ও আইনবিদ সাংসদেরাই, পাদ্রী-রাবাই ধর্মগুরুরা নন। ঠিক যেমন বিজ্ঞানীরা বহু গবেষণায় বানিয়েছেন বহু ওষুধ যা প্রাণ রক্ষা করে ও শিল্পায়নের প্রযুক্তি দেয়। ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ যদি ‘ধর্মহীনতা’ হয়, তবে ‘প্রাণহীন দেহ’ হবে ‘প্রাণ নিরপেক্ষ’ এবং ‘বৃষ্টিহীন মরু’ হবে ‘বৃষ্টিনিরপেক্ষ মরু’।  কি দাঁড়াল তাহলে? 

আমেরিকার ডলারে লেখা নেই ‘ইন্ গড উই ট্রাস্ট’? হ্যাঁ, আছে। সাংসদ ও রাষ্ট্রপ্রধানকে ধর্মীয় শপথ নিতে হয় না? হয়। কোরান হাতে শপথ নেয়া বৈধ করেনি সরকার? করেছে। আদালতগুলোতে বাদী-বিবাদীকে ধর্মীয় শপথ নিতে হয় না ? হয়। ক্যানাডায় ক্যাথলিক স্কুলে প্রচুর সরকারি টাকা যায় না? যায়। বিলেতের সরকার রাষ্ট্রীয় ট্রেজারি থেকে শারিয়া-বণ্ড বাজারে ছাড়েনি? ছেড়েছে। আমেরিকার ট্রেজারি ইসলামি ব্যাঙ্কিং-এর অনুমোদন দেয়নি ? দিয়েছে। আমেরিকার সরকারি প্রতিষ্ঠান এআইজি শারিয়া-ব্যাঙ্কিং অনুমোদন দেয়নি ? দিয়েছে। লণ্ডনের বিশাল মসজিদের জন্য দশ কোটি পাউণ্ড সরকারি অনুদানের প্রস্তাব ছিল না? ছিল, সে ইমেইল আমরা পেয়েছি। জার্মানির কোলন-এ সুবিশাল মসজিদ নির্মিত হচ্ছে না? হচ্ছে। বিলেত ও জার্মানি তাদের আইনে মুসলিম নাগরিকদের জন্য বহুবিবাহের কিছু উপাদান গ্রহণ করেনি? করেছে। সরকারগুলো পুলিশ দিয়ে ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোর তত্ত্বাবধান করে না? করে। বেলজিয়ামের ব্রাসেলস শহরে সরকার শারিয়ার বিরুদ্ধে মিছিল নিষিদ্ধ করেনি? করেছে। টরন্টো শহরে রেজিস্টার্ড ইসলামি সংগঠন নেই অনেক? আছে। ইংল্যাণ্ডে জার্মানিতে ফ্রান্সে প্রায় সাত হাজার বৈধ ইসলামি সংগঠন নেই ? আছে। ধর্মীয় উপাসনালয়গুলো বিশাল জমির ওপরে বিরাট দালান, অনেক দেশে সেগুলোর বিভিন্ন ট্যাক্স মওকুফ করা হয় না? হয়। সিরিয়ার লক্ষ লক্ষ অত্যাচারিত মুসলিমকে আশ্রয় নাগরিকত্ব দিয়েছে কোন মুসলিম রাষ্ট্র নয় বরং ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রগুলোই।

এরপরেও ওয়াজ মহফিলে শুনতে হয় পুরো পশ্চিমা বিশ্ব ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে ও যুদ্ধ ঘোষণা করেছে।

এক ধর্মের ধর্মরাষ্ট্র অন্য ধর্মের রাষ্ট্রকে বৈধ ও উৎসাহিত করে। পাকিস্তানের ইসলামি রাষ্ট্র ভারতে হিন্দু রাষ্ট্রকে বৈধ ও উৎসাহিত করে। ইউরোপ অ্যামেরিকা ক্যানাডা অস্ট্রেলিয়ায় ওরা ইহুদী-খ্রিস্টান রাষ্ট্র বানিয়ে আমাদের ঘাড়ে ওদের শারিয়া চাপিয়ে দিলে কোটি কোটি মুসলমানের কী দুর্দশা হবে আর তার জন্য কে দায়ী হবে? ধর্মরাষ্ট্র ইজরায়েল কি দানবীয় তা তো আমরা দেখছি। খ্রিস্টান, হিন্দু (সনাতন) রাষ্ট্র (সতীদাহ স্মর্তব্য) ও মুসলিম খেলাফত হাজার হাজার বছর সময় পেয়েছিল নিজেদের যৌক্তিকতা প্রমাণ করার, এখনো পাচ্ছে কিছু দেশে। কিন্তু কিছু হাতেগোণা শাসকের সময় ছাড়া এর ইতিহাস ভারাক্রান্ত হয়ে আছে জনগণের দুর্ভোগে, নারীর অশ্রু আর রক্তে। এর কিছুটা পাবেন মতামত বিভাগে ২৮ অগাস্ট, ২০১৯ তারিখে প্রকাশিত “মুসলিম উম্মাহ ও অপ্রতিহত মোদী” নিবন্ধে। এছাড়াও পাওয়া যাবে মওলানা মওদুদি’র উদ্ধৃতিতে :- 

“বাদশাহদের প্রায় সব জমিজমা ও প্রাসাদ (রিয়েল এস্টেট) অবৈধভাবে অর্জিত। কাহারো উচিত নহে এসব সুলতানকে মুখ দেখানো বা তাহাদের মুখ দেখা। তাহাদের অত্যাচারের জন্য তাহাদিগকে ঘৃণা করা উচিত, তাহাদের অস্তিত্বকেই নিন্দা করা উচিত, তাহাদের প্রশংসা করা উচিত নহে…তাহাদের রাজপ্রাসাদ ও সাজ-পোশাককে নোংরা ও অনৈসলামিক ঘোষণা করা উচিত”… তিনি সকল মন্ত্রীদিগকে চিঠিতে লেখেন যে, − “স্বৈরতন্ত্রের অত্যাচার সকল সীমা অতিক্রম করিয়াছে। আমি এইস্থান ত্যাগ করিয়া যাইতেছি যাহাতে স্বৈরতন্ত্রের এই নিষ্ঠুর ও নির্লজ্জ কর্মকাণ্ড আমাকে দেখিতে না হয়” − এ শর্ট হিস্ট্রি অব্ দ্য রিভাইভালিস্ট মুভমেন্ট ইন ইসলাম − পৃষ্ঠা ৬২-৬৩।

ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রব্যবস্থা কি ত্রুটিমুক্ত? অবশ্যই নয়। এই রাষ্ট্রব্যবস্থাতেই বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেছিল হিটলারের মতো দানব, এসেছিল বুশ ব্লেয়ার যারা মধ্যপ্রাচ্যে মুসলিম তৈল-কুতুবদের সাহায্যে মুসলিমদের ওপর গণহত্যার দাবানল জ্বালিয়েছে। অর্থাৎ লোহার কুড়ুলটা অন্য কাঠকে ছিন্নভিন্ন করতে পেরেছে কাঠের হাতলটার সাহায্য পেয়েছে বলেই। কিন্তু বেশিরভাগ দেশে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রব্যবস্থা অত্যন্ত সফল, এখানে আইনের চোখে সবাই এক। ক্যানাডার অন্টারিও প্রদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল মাইকেল ব্র্যান্ট এক মামলায় তিন দিনের জেল খেটে এসেছেন। এমন উদাহরণ প্রচুর আছে। মুসলিম ইতিহাসে এটা আমরা আদিতে কিছু দেখি যেমন হযরত ওমরের (রা) ছেলে আদালতে শাস্তি পেয়েছিল। কিন্তু খেলাফত রাজতন্ত্র হয়ে যাবার পর এমন আর বেশি দেখা যায়না। এখনকার শারিয়া-রাষ্ট্রে তো এটা কল্পনাই করা যায়না।

  • ইসলামী রাষ্ট্রে রাষ্ট্রপ্রধান চুরি-ডাকাতি, খুন-জখম, মদ্যপান, ব্যাভিচার ইত্যাদি অপরাধ করলে শাস্তি তো দূরের কথা তার বিরুদ্ধে মামলাই করা যাবেনা− বিধিবদ্ধ ইসলামি আইন ৩য় খণ্ড আইন নং ৯১৪ গ এবং হানাফি আইন হেদায়া পৃষ্ঠা ১৮৮। তওবা করলেই গণহত্যাকারী গণধর্ষণকারীর শাস্তি মাফ (বিধিবদ্ধ ইসলামি আইন ১ম খণ্ড ধারা ১৩)। কিংবা পাকিস্তান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রথম মহিলা গভর্নর ড. শামশাদ আখতার যেহেতু নারী তাই তিনি ব্যাংকের কিছু বিশেষ দলিলে সই করতে পারবেন না (দৈনিক ডন ২৯-০৯-২০০৮) এমন উদ্ভট দাবিও ঘটে ইসলামী রাষ্ট্রেই। ইসলামী রাষ্ট্রে আইন হয় – “কোনো কোনো ক্ষেত্রে সাক্ষ্য গোপন করার জন্য উৎসাহ প্রদান করা হইয়াছে” (বিধিবদ্ধ ইসলামি আইন ২য় খণ্ড পৃষ্ঠা ২৩১)।  
  • ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে আইন হয় আইনের চোখে সবাই সমান, তওবা করলেও অপরাধের শাস্তি হবে, আইন হয় “সাক্ষ্য গোপন করিও না”− বাকারা ২৮৩, মায়েদা ১০৬, ইমরাণ ১৬১ ইত্যাদি।
  • ইসলামী রাষ্ট্রে আইন হয় −“যদি উদ্দেশ্যটি বাধ্যতামূলক হয় তবে মিথ্যা বলা বাধ্যতামুলক” (শাফি আইন নং আর.৮.২) ইত্যাদি।
  • ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে আইন হয় – “মিথ্যা বলা থেকে দূরে থাকো … সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশিয়ে দিও না”− সুরা হজ ৩০ এবং বাকারা ৪২।  

অনেকে বলেন পাকিস্তান মধ্যপ্রাচ্য মিসর ইত্যাদি যেগুলো সাংবিধানিকভাবেই শারিয়া রাষ্ট্র সেগুলো পারফেক্ট ইসলামিক রাষ্ট্র নয়। সেক্ষেত্রে আমরা বর্তমান বিশ্বে পারফেক্ট ইসলামী রাষ্ট্রের নাম জানতে চাইব। সেই সাথে ভালো হয় যদি তারা জানতে চেষ্টা করেন কেন অনেক ইসলামী সংগঠন ও বিশেষজ্ঞ ইসলামী রাষ্ট্রতত্ত্বের বিরোধী। ভালো হয় যদি তারা আলেম-উলামা প্রতিষ্ঠিত দুনিয়ার বৃহত্তম ইসলামী সংগঠন নাহদালাতুল উলামা’র ‘দি ইলিউশন অব অ্যান ইসলামিক স্টেট্’ (ইসলামী রাষ্ট্রের বিভ্রম) বইটার যুক্তি খণ্ডন করার চেষ্টা করেন কারণ ভিন্নমত নিয়ে চিন্তা করাটাই জ্ঞানার্জনের সর্বশ্রেষ্ঠ উপায়।

চলবে…...

https://opinion.bdnews24.com/bangla/archives/58008


ধর্মনিরপেক্ষ বনাম ইসলামী রাষ্ট্র (২)ঃ
http://hasanmahmud.com/index.php/articles/islamic-bangla/161-2019-10-20-13-24-51

Print