গালাগালি ও মারামারির মধ্যে হযরত আবু বকরের (রা) "হঠাৎ নির্বাচন"
হাসান মাহমুদ - ২০শে সেপ্টেম্বর ২০২৪ (DISCLAIMER:- এ ব্যাপারে আমার ব্যক্তিগত কোনো মতামত নেই, আমি দলিলে যা পেয়েছি তা তুলে ধরেছি মাত্র)।
আজ থেকে ১৩৯২ বছর আগে সোমবার ৮ই জুন ৬৩২ সালে মদীনায় যা ঘটেছিল তা মুসলিম সমাজকে সর্বপ্রথম ভেতর থেকে আঘাত হেনেছিল এবং এখনো তা বিশ্ব-মুসলিমকে প্রভাবিত করছে। সেটা হলো হযরত আবু বকরের (র) নির্বাচন। এ ঘটনার যে বয়ান আমরা সাধারণত শুনি সেটা মূল ইসলামী দলিলের সাথে মেলেনা। এটা বিস্তারিত আছে তারিখ আল তাবারি দশম খন্ডে, এবং সংক্ষেপে আছে সহি বুখারী অষ্টম খন্ড হাদিস ৮১৭-এ । এ নিবন্ধে দুটো বইয়েরই ফ্রী ডাউনলোড লিংক দেব যাতে পাঠক মিলিয়ে নিতে পারেন। ওই হাদিসে এটাও আছে - হযরত ওমর (রা) বলেছেন - "One should not deceive oneself by saying that the pledge of allegiance given to Abu Bakr was given suddenly and it was successful. No doubt, it was like that…….." ( "কেউ যেন এটা বলে আত্মপ্রতারণা না করে যে আবু বকরকে বায়াত দেওয়াটা হঠাৎ হয়েছিল এবং সফল হয়েছিল। সন্দেহ নেই যে ওটা ওভাবেই হয়েছিল .................")। সহি বুখারী- পৃষ্ঠার স্ক্যান:-
**- এই হাদিস আছে এখানেও - মোহাম্মদ আবদুল করিম খান সংকলিত "বাংলায় বোখারী শরীফ হাদীস সমূহ" - সম্পাদক হাফেজ মোহাম্মদ আবদুল জলিল - বাংলাদেশ লাইব্রেরি,পৃষ্ঠা ৩২১, হাদিস নম্বর ১২৪৯।
প্রেক্ষাপট - গাদিরে খুমের বক্তৃতায় নবীজির ঘোষণা "আমি যার মওলা আলী তার মওলা", হযরত আলীর (রা) হাতে মদিনার শাসনভার দিয়ে নবীজির যুদ্ধে যাওয়া ("আশারা মুবাশশারা" - ফাযেল-এ দেওবন্দ মাওলানা মোহাম্মদ গরিবুল্লাহ ইসলামাবাদী, পৃষ্ঠা ১৬২) ইত্যাদি কিছু ঘটনার ভিত্তিতে অনেক মুসলিম মনে করতেন তাঁকেই নবীজি পরবর্তী শাসক মনোনীত করেছেন। নবীজির (সা) মৃত্যুর পর কিছু আনসার এক বাসায় পরবর্তী নেতৃত্ব নিয়ে আলোচনা শুরু করে, বাইরে বিস্তীর্ণ মুসলিম সমাজ এর কিছুই জানত না। এমনকি, জীবিতকালেই বেহেশতের সুসংবাদ পাওয়া দশজন সাহাবীর (আশারা মুবাশশারা) মাত্র তিনজন সেখানে ছিলেন, হযরত আলী (রা) সহ বাকি সাতজন সেখানে ছিলেনও না কিছু জানতেন ও না। সংক্ষেপে হাইলাইট:-
(এক) আনসারদের পরবর্তী নেতৃত্ব নিয়ে আলোচনাা জানতে পেরে হযরত ওমর (রা) তাড়াতাড়ি হযরত আবু বকরকে (রা) এবং "আশারা মুবাশশারা"-দের একজন আবু উবাইদা বিন জাররাহ-কে (রা) নিয়ে সেখানে পৌঁছান,
(দুই) আনসাররা তাদের নেতা সাদ বিন উবাদাকে এবং হযরত ওমর (রা) হযরত আবু বকরকে (রা) খলিফা নির্বাচনের প্রস্তাব করেন
(তিন) ঝগড়া বেড়ে গেলে দুই দল থেকে দুই খলিফার দ্বৈত শাসনের প্রস্তাব ওঠে, হযরত ওমর (রা) এতে প্রচন্ড বাধা দেন
(চার) ঝগড়া আরো বেড়ে যায়, হঠাৎ একজন হযরত আবু বকরের (রা) হাতে বায়াত নিলে প্রচন্ড হুড়োহুড়ি, হাতাহাতি, দাঁড়ি নিয়ে টানাটানি, মাথার উপরে দাঁড়িয়ে পদদলিত করা, তলোয়ার বের করে হুংকার ইত্যাদির মধ্যে বায়াত শেষ হয়। এ খবর বাইরে গেলে পুরো মুসলিম সমাজ স্তম্ভিত হয়ে যায় এবং খলিফার পক্ষে-বিপক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়ে। ছয় মাস পর ফাতেমার (রা) মৃত্যুর পর হযরত আলী (রা) হযরত আবু বকরের (রা) হাতে বায়াত নেন।
এই গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সংক্ষেপে দেয়া হল, লিংকে তারিখ আল তাবারি, দশম খন্ডে (কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি, আমেরিকা) বিস্তারিত আছে:-
https://hasanmahmud.com/index.php/articles/islamic-english/287-the-sudden-and-violent-election-of-abu-bakar-r
&&&&&&&&&&&&&&&&&&&&&&&&&&&&&&&&&&&&&&&&&
রসূল (সা) ইন্তেকাল করার পর আনসারেরা বনু সায়ীদার অঙ্গনে একত্রিত হলো এবং বলল - "চল আমরা নবীজির পর খলিফা হিসাবে সাদ বিন উবাদা'কে মনোনীত করি"। তারা সাদ বিন উবাদা'কে নিয়ে এল, কিন্তু সে খুব অসুস্থ ছিল। তখন সে তার পুত্র বা কাজিনকে বলল- " অসুস্থতার জন্য আমি আমার কথা সবার কানে পৌঁছাতে পারবো না। আমি বলার পরে তোমরা তা সবাইকে শোনাও"। তারপর সে যা বলল সেটা অন্য একজন উচ্চস্বরে সবাইকে শোনালো। আল্লাহর প্রশংসা করার পর সে বলল:-
"হে আনসারগন ! আরবের আর কোন গোত্র ইসলামের ব্যাপারে তোমাদের মত উচ্চ আসন ও সফলতা দাবি করতে পারে না। দশ বছর ধরে মোহাম্মদ তার গোত্রকে প্রতিমা ও মূর্তি বর্জন করে রহমানুর রহিমকে ইবাদত করতে বলেছে। কিন্তু মাত্র কয়েকজন তাকে বিশ্বাস করেছে। আল্লাহ তোমাদেরকে উচ্চ আসন দেবার আগে পর্যন্ত তারা না পেরেছে আল্লাহর রাসূলকে রক্ষা করতে, না পেরেছে ইসলামকে শক্তিশালী করতে, না পেরেছে তাদের উপর অত্যাচার প্রতিহত করতে। তোমাদেরকে আল্লাহ আভিজাত্য দিয়ে অন্যদের থেকে পৃথক করেছেন। আল্লাহ তার এবং তার রাসূলের প্রতি তোমাদেরকে দান করেছেন ঈমান, তাঁর ও তাঁর ধর্মের শক্তি, তাঁকে ও সাহাবীদেরকে রক্ষার দায়িত্ব এবং তার শত্রুদের সাথে যুদ্ধ করার দায়িত্ব। তাঁর শত্রুদের বিরুদ্ধে তোমরাই ছিলে সবচেয়ে দুর্দান্ত.............. তোমাদের তরবারি দ্বারাই আরবরা তাঁর পদানত হয়েছিল................. অতএব, বাকি সবাইকে বাদ দিয়ে এর নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে তুলে নাও, কারণ এটা তোমাদের এবং একমাত্র তোমাদেরই" ।
আনসারেরা সমস্বরে জবাব দিল- "তুমি ঠিক বলছো - আমরা তোমার কথা অমান্য করবো না এবং তোমার উপরে দায়িত্ব অর্পণ করবো। কারণ বিশ্বাসীদের মধ্যে তুমি সম্মানিত এবং আমাদের জন্য যথেষ্ট”।
তখন তাদের মধ্যে বিতর্ক শুরু হলো, কেউ কেউ বলল- 'কি হবে যদি মুহাজির-রা আপত্তি করে বলে - 'আমরা মুহাজির-রা আল্লাহর রসুলের প্রথম সাহাবী, আমরাই তাঁর গোত্রীয় বন্ধু। তাঁর মৃত্যুর পর আমাদের সাথে এ নিয়ে বিতর্ক করছো কেন?"
আনসারদের আরেকদল বলল - "আমাদের মধ্যে থেকে একজন আর তোমাদের মধ্যে থেকে একজন নেতা সাব্যস্ত করো, কারণ নেতৃত্ব ছাড়া আর কিছুতেই আমরা সন্তুষ্ট হবো না"।
একথা শুনে সাদ বিন উবাদা বলল - "এটাই দুর্বলতার শুরু"।
এসব জানতে পেরে ওমর (রা) ................. আবু বকরকে (রা) নিয়ে সেদিকে ছুটলেন। পথে আবু ওবায়দা বিন আল জাররাহ- এর সাথে দেখা হলে তিনজনের সেখানে গেলেন। ওমর বিন খাত্তাব (রা) বলেছেন –
“আমরা সেখানে গেলাম - সেখানে কিছু বলার জন্য আমি কাগজে বক্তব্য লিখে নিয়েছিলাম কিন্তু সেটা পড়ার আগেই আবু বকর আমাকে বললেন – “থামো, - আমি আগে বলি তারপর তুমি যা ইচ্ছা বলবে”। তখন তিনি বক্তব্য রাখলেন যার মধ্যে আমার যা বলার ছিল তার সবই ছিল"। ************************ আল্লাহর প্রশংসা করার পর আবু বকর বললেন:-
"………….. দুনিয়ায় মুহাজিররাই সর্বপ্রথম আল্লাহর ইবাদত ও তাঁর রাসুলের প্রতি বিশ্বাস এনেছিল। তারাই ছিল তাঁর বন্ধু, সমর্থক এবং তাঁর পরে তারাই এই ব্যাপারে সর্বাধিক অধিকার রাখে। ........... ওহ আনসারেরা, ইসলামের ব্যাপারে আপনাদের superiority and great precedence অনস্বীকার্য......... রসুল আপনাদের কাছেই হিজরত করেছেন, তাঁর অনুসারী ও স্ত্রীগণের মধ্যে আপনারাই সর্বাধিক। কাজেই, প্রথম মুহাজিরদের পরে আমাদের মধ্যে আপনাদের উচ্চতায় আর কেউ নেই। আমরা নেতা আপনারা সাহায্যকারী, আপনাদের পরামর্শ ছাড়া আমরা কোন সিদ্ধান্তই নেব না"।
তখন আল হুবাব বিন আল মুন্ধির বিন আল জামুহ দাঁড়িয়ে বললেন; -"হে আনসারেরা, নিজেদের হাতে নিয়ন্ত্রণ নাও কারণ তোমরাই অন্যদের চেয়ে শক্তিশালী। এটা করলে কেউ তোমাদের বিরোধিতা করার সাহস পাবে না.................... শক্তি ও সম্পদের মালিক তোমরাই, যুদ্ধে অভিজ্ঞ ও শক্তিশালী, সাহসী ও আত্মবিশ্বাসী তোমরাই.............. তোমরা এই লোকটির (আবুবকর রা) কথা শুনেছ। কাজেই চল আমরা আমাদের মধ্যে থেকে একজন এবং তাদের মধ্যে থেকে একজন নেতা বানাই"।
তখন ওমর বললেন- "এটা হতেই পারে না................ আল্লাহর কসম, রসূল তোমাদের মধ্যে থেকে নন বলে আরবরা কখনোই তোমাদের নেতৃত্ব মেনে নেবে না, তারা মানবে তাদের নেতৃত্ব যাদের ভেতরে রসূল এসেছেন..................।
কিন্তু আল হুবাব বিন আল মুন্ধির আবার দাঁড়িয়ে বললেন; -"হে আনসারেরা, নিজেদের হাতে নিয়ন্ত্রণ নাও, এই লোক ও তার বন্ধু যা বলে তা শুনো না কারণ তারা এ ব্যাপারে তোমাদের অংশ থেকে তোমাদেরকে বঞ্চিত করবে। এরা তোমাদের দাবি মানলে তাদেরকে দেশ থেকে তাড়িয়ে দাও................ কারণ এ ব্যাপারে তোমরাই বেশি হকদার................"।
তখন ওমর বললেন- "আল্লাহ তোমাকে হত্যা করুন"। জবাবে আল হুবাব বললেন- "আল্লাহ তোমাকে হত্যা করুন"। তখন আবু উবাইদা বললেন- "হে আনসারেরা! তোমরাই (ইসলামকে) সাহায্য ও শক্তিশালী করেছো, এটা কোন অধমের হাতে ছেড়ে দিও না"।
তখন বশির বিন সাদ বললেন (ইনি আনসার ছিলেন - হাসান মাহমুদ) - "হে আনসারেরা! ইসলামের জন্য মুশরিকদের সাথে যুদ্ধ করার ব্যাপারে আমরাই সর্বোচ্চ- কিন্তু আমরা এটা করেছি আল্লাহর সন্তুষ্টি এবং রসুলের আনুগত্যের জন্য এবং আমাদের নাজাতের জন্য। এজন্য আমাদের অন্যদের ওপরে স্থান দেওয়া উচিত হবে না। রসুল কোরেশদের মধ্যে জন্মেছেন তারাই নেতা হবার বেশি যোগ্য ........"।
আবু বকর (রাঃ) বললেন, “ইনি হলেন উমর এবং ইনি আবু উবায়দা; তাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা নেতা বানাও”। কিন্তু তাঁরা দুজনেই বললেন - "না আমরা আপনার উপরে নেতৃত্ব নেব না কারণ মুহাজিরদের মধ্যে আপনিই সর্বোত্তম। আপনার হাত দিন যাতে আমরা আপনার প্রতি বায়াত নিতে পারি".....................................
এই দুজন বায়াত নিবার জন্য আবু বকর রা এর দিকে এগোতেই বশির বিন সাদ এগিয়ে গিয়ে আবু বকর (রা) এর হাতে বায়াত নিলেন। (বশির বিন সাদ আনসার ছিলেন - হাসান মাহমুদ) তখন আল হুবাব বিন আল মুন্ধির চিৎকার করে বললেন- " ও বশির বিন সাদ, তুমি তোমার গোত্রের বিরুদ্ধে দাঁড়ালে! কেন তুমি এটা করলে? তুমি কি নেতৃত্বের জন্য তোমারই গোত্রের কাজিনকে হিংসা করো? (এই কাজিন সাদ বিন ওবাদা, আনসার, যাকে খলিফা বানানোর প্রস্তাব হয়েছিল - হাসান মাহমুদ) ।
তিনি বললেন – “না, আল্লাহর কসম! বরং আল্লাহ তাদেরকে যে অধিকার দিয়েছেন তার বিরোধিতা করতে চাইনি..............” তখন মুহাজিররা বলাবলি করতে লাগল যে আনসাররা ক্ষমতা পেলে মুহাজিররা বঞ্চিত হবে, তাই তারা একসাথে এগিয়ে গিয়ে আবু বকর-এর হাতে বায়াত নিল। এভাবেই আনসাররা পরাজিত হল........ ওমর বলতেন- "আমি নিশ্চিত হলাম যে আমরা বিজয়ী হয়েছি"।
লোকেরা সাদ বিন উবাদাকে প্রায় তাদের পায়ের নিচে মাড়িয়ে বায়াত নিতে এগিয়ে গেল, সাদের লোকেরা বলল - "সাবধান, সাদকে পায়ে মাড়িও না"। তখন ওমর বললেন- "ওকে খুন করো! আল্লাহ যেন ওকে হত্যা করেন"। তারপর ওমর সাদ এর মাথার উপরে দাঁড়িয়ে বললেন - "তোমার হাত না ভাঙা পর্যন্ত আমি তোমাকে পায়ের নিচে পিষে ফেলবো"।
এতে সাদ ওমরের দাঁড়ি টেনে ধরে বলল- "আল্লাহর কসম! এখান থেকে একটা চুল সরালে তুমি তোমার মুখের সামনের দাঁত নিয়ে ফিরে যেতে পারবে না"।
আবু বকর বললেন- "শান্ত হও ওমর, এ মুহূর্তে এটাই বেশি কাজে দেবে", তখন ওমর সেখান থেকে সরে গেলেন।
সাদ বলল- "আল্লাহর কসম! আমার শক্তি থাকলে তুমি মদিনার রাস্তায় এমন গর্জন শুনতে যাতে তুমি আর তোমার সাথীরা পালিয়ে যেতে। আল্লাহর কসম! আমি এমন দলে যোগ দেবো যার তুমি অনুসারী হবে, নেতা হবে না"…………………………………………..
পরে সাদ বিন উবাদাকে বলা হল আবু বকরের রা হাতে বায়াত নিতে কারণ তার গোত্র সহ অনেকেই সেটা করেছে) তখন সে বলল -"আল্লাহর কসম আমি তা করবো না....................... আমি আমার পরিবার ও সমর্থকদের নিয়ে যুদ্ধ করব........"।
এ কথা আবু বকরকে জানানো হলে ওমর তাঁকে বললেন - "বায়াত না নেওয়া পর্যন্ত ওর ওপর অত্যাচার করতে থাকো।" এতে বশির বিন সাদ বললেন - "তাকে খুন করা হলেও সে বায়াত নেবে না বলে মনস্থির করেছে, আর তাকে খুন করতে হলে তার পরিবার এবং তার গোত্রের অনেককে খুন করতে হবে। কাজেই তাকে ছেড়ে দাও তাতে তোমাদের কোন ক্ষতি হবে না"।
একথা সবাই মেনে নিলেন। আবু বকরের জীবিত কালে সাদ বিন উবাদা তাঁদের সাথে জুমার নামাজও পড়তো না হজও করতো না।
আল মুন্ধির তার তলোয়ার বের করে মুহাজিরদের ওপর তার নানারকম শ্রেষ্ঠত্ব বর্ণনা করে শেষে বলল - "আমি সিংহের গুহায় সিংহের মতো"। তখন ওমর তাকে আক্রমণ করে তার হাতে এত জোরে আঘাত করলেন যে তার হাত থেকে তলোয়ার পড়ে গেল, ওমর সেটা কুড়িয়ে নিয়ে সাদ বিন ওবাদাকে আক্রমণ করলেন। একের পর এক জনগণ আবু বকরের হাতে বায়াত নিলো, সাদ'ও বায়াত নিলো, এটা হঠাৎ হয়েছিল। যখন সবাই সাদকে পদদলিত করছিল তখন একজন বলল "তোমরা সাদকে খুন করলে" - এতে ওমর বললেন- "আল্লাহ তাকে খুন করেছে কারণ সে মুনাফিক" বলে ওমর তলোয়ারটা পাথরে এত জোরে আঘাত করলেন তলোয়ার ভেঙে গেল।
***********************************************
সমর্থন:- এই ওয়েবসাইট নির্ভরযোগ্য, এটার সহি বুখারী ও সুনান ইবনে মাজাহ আমার কেতাবের সাথে মেলে। এই লিংকে বেশ কিছু হাদিস আছে, নিচে স্ক্রল করলে সহি বুখারী ৮ম খন্ড হাদিস ৮১৭ পাওয়া যাবে:- https://sunnah.com/search?q=some+people+of+the+Muhajirln+%28emigrants%29%2C+among+whom+there+was+%27Abdur+Rahman+bin+%27Auf